জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল দাদার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ॥ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অর্থলোভী নারী মরিয়মকে
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৪:৩৬, অক্টোবর ৩০ ২০২১ মিনিট
স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাঙ্গামাটির মুর্শিদাবাদ গুলশাখালী ইউনিয়নের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা চেয়াম্যান প্রর্থী আব্দুল মালেক দুলাল দাদার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে এলাকার একটি কুচক্রী মহল। তার জনপ্রিয়তার কাছে এ কুচক্রী মহল প্রতিবার হার মেনে বর্তমানে দুলাল দাদার তালাক প্রাপ্তা অর্থলোভী স্ত্রী মরিয়াম বেগমকে হাতিয়ার বানিয়েছে এ মহলটি। দুলাল দাদা ও তার পরিবারকে একের পর এক হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে এ কুচক্রী মহলটি। এ ঘটনায় রাঙ্গামাটি থানায় একটি দুলাল দাদা ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যানাগেছে, রাঙামাটি, লংগদু, গুলশাখালী ইউনিয়ন তথা রাঙ্গামাটি এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু হেডম্যান হালিম এর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। হালিমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় দুলাল দাদা। এর পর থেকে বিভিন্ন ভাবে হেডম্যান হালিম ও তার সহযোগী এরশাদ মাষ্টার, এ্যাড. কামাল সুজন, ও তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মরিয়াম বেগম মিলে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দুলাল দাদার মালিকানাধিন রাঙামাটি পাহাড়ি চিকিৎসালয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে। এমনকি ওই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জমির মালিকানা দাবী করেন দুলাল দাদার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মরিয়াম। মরিয়ার বিভিন্ন ভাবে দুলাল দাদাকে হয়রানী করে এবং পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কাজও বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে সু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রত্যান্ত এ অঞ্চলের সাধার মানুষ। এর পরেও সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে আবারো প্রতিষ্ঠান নির্মনের কাজ শুরু করলে হালিম ও তার সহযোগীরা দুলাল দাদা ও পরিবার কে হত্যার হুমকি দেয়।
অপরদিকে দুলাল দাদার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মারিয়াম বর্তমানে এ মামলার ২নং আসামী এরশারদ মাস্টারের বর্তমান স্ত্রী। মরিয়ম দুই বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে ফেলে রেখে রাতের আধারে এরশাদ মাষ্টারের সাথে পরকিয়া করতে নিজের বাপের বাড়িতে চলে যায়। তিনি শুধু এরশাদ মাষ্টারের সাথেই না দুলাল দাদার সাথে সংসারকালীন সময়ে গ্রামের এবং শহরের ভাড়া বাসায় থাকাকালীন অবস্থায় একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সর্ম্পক ছিল। যা বিভিন্ন সময়ে দুলাল দাদার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এ নিয়েই দুলাল দাদার সাথে তার নানারকম সাংসারিক মলমালিন্য ছিল। আরো জানাগেছে, মরিয়ারেমর বর্তমান স্বামী এরশাদ মাষ্টারও তাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু দুলাল দাদার জমি ও টাকা আত্মসাতের জন্য তালাকপ্রাপ্ত হওয়া সত্বেও তার এক সাথে সংসার করছে। এ বিষয়ে দুলাল দাদা জানান, মরিয়ম আমার স্ত্রী থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম শহরের হিলভিউ বাসা থেকে আমাকে বাহির থেকে ঘরে তালাবন্দি করে সাড়ে চার লাখ টাকা ও কয়েক ভরি র্স্বণালংকার নিয়ে তার বাবার বাড়িতে পালিয়ে যায়। আমি থানায় ফোন করলে পাচঁলাইশ থানার একজন এসআই এসে আমাকে ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করেন। ওই এসআই ওইদিন মরিয়মকে ফোন দিলে টাকা, পয়সা, র্স্বণালংকার কেন নিয়ে গেছে জিগ্যেস করলে উত্তরে বলেন তার দেনমোহর বাবদ এইগুলো নিয়ে গেছেন। এর পরে মরিয়মকে আমার চৌমুহনী বাজারের ক্লিনিকের জমি থেকে আমি নাকি তাকে পনের শতক জমি লিখে দিয়েছি দেনমোহর বাবদ। এরকম একটা জাল দলিল তৈরী করে সে বিগত চার বছর ধরে নানান সময় এলাকার লোকজন নিয়ে আমাকে হয়রানিমূলক বৈঠক বসানো হয়। ২১/১০/২০২১ তারিখে আমি আমার ক্লিনিকের কাজ শুরু করলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেয় কারণ মরিয়মের নাকি এখানে জমির ভাগ আছে তার সূএ ধরে ২৬/১০/২০২১ তারিখে থানার ওসির কাছে মরিয়মদের পক্ষ ও আমাকে ডাকা হয় এর একটা সুরাহা করার জন্য। থানা থেকে ওসি সাহেব স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য রহিম চেয়ারম্যানের বাড়িতে ২৭/১০/২০২১ তারিখে রাত আট ঘটিকার সময় স্থানীয় কিছু ব্যাক্তিবগ নিয়ে দুই পক্ষকে সমঝোতা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সেখানে মরিয়মের পক্ষ থেকে কোন সুরাহা না মেনে কোন সঠিক তদন্ত না করে তারা সেখান থেকে স্থান ত্যাগ করে। কিন্তু আমি সেখানে রহিম ভাইয়ের সাথে এই বৈঠকের শেষ পযর্ন্ত বসা ছিলাম। কিন্তু আমি অপেক্ষা করার পরেও মরিয়মের পক্ষ থেকে সেটা না মানলে পুনরায় এটা আবার ২৮/১০/২০২১ তারিখে থানায় বসার সিদ্ধান্ত হয়। ওইদিনেও এখানে এ বিষয়ে কোন সুরাহা না হওয়াতে এটা থানার ওসি আমাকে বলেন, মরিয়মের পক্ষ থেকে তার দাবি দাওয়ার কোন সত্যিকারের দলিলপএ থাকে তাহলে সে র্কোটের মাধ্যমে আমার কাছ থেকে বুঝে নিবেন। মরিয়ম গত চার বছর আগে তার দুই বছরের সন্তানকে, আমাকে স্থানীয় থানার মাধ্যমে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে সারা জীবনের জন্য বুঝিয়ে দিয়েছে। এতদিন পর এই সন্তানকে পুনরায় সে নিয়ে যাওয়ার জন্য দাবি করছে। মরিয়ম আর আমার বিয়ের সময় কামিন করা হয়েছিল মাত্র দুই লক্ষ টাকা। অথচ সে টাকা, স্বর্ণালংকার নেয়ার পরেও সে মিথ্যা দাবি করে আমি নাকি তাকে দেনমোহর বাবদ ক্লিনিকের জামি থেকে তাকে পনের শতক জমি লিখে দিয়েছি। এজন্যই মরিয়মকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অঅমার অনুরোধ রইলো এর সঠিক তদন্ত করে কোর্টের মাধ্যমে এটার সুরাহা করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করা হোক।
দুলাল দাদা আরো বলেন, এ মামলার ১নং আসামী হালিম যে বাড়িতে থাকে ওই বাড়ির ৪০ শতাংশ জায়গা থেকে আমার নামে ২০ শতাংশ জায়গা বায়না করেছি। তার দলিল টা আমার কাছে আছে। আমার কাছে যে দামে জায়গাটা বিক্রি করছে তার থেকে অধিক মূল্য যখন অন্যত্র পেয়েছে তখন তিনি ওই জায়গাটা রাঙ্গামাটি বর্তমান মেয়রের ছোট ভাই ইকবালের কাছে বিক্রি করেন। আমি ১৯৭৯ সালে বর্তমানে রাঙামাটি যে রাস্তা আছে তা অন্যান্যদের সাথে নিজ হাতে তৈরী করেছি। তখন অমি নিজের হাতে দাতেঁর মাজন তৈরী করে তা বিক্রি করে দিনে অন্তত তিন হাজার টাকা হালালভাবে উর্পাজন করে আজকে এই রাঙামাটি পাহাড়ি চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছি। এখানে আমার ড্রাগ লাইসেন্স আছে, কবিরাজি সনদ আছে এবং ক্লিনিক করতে যা যা থাকা দরকার সব আছে। আমার বাবার শেষ ইচ্ছে অনুযয়ী তার কথা রাখতে গিয়ে আমার সৎ পরিশ্রমের টাকা দিয়ে বিগত ৫ বছর আগে ক্লিনিকের কাজ শুরু করলে হেডম্যান হালিম জাল দলিল তৈরী করে আমার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঐ রকম একটা প্রমাণ মরিয়মের হাতের সাক্ষর দেয়া দলিল আছে। মরিয়ম যাকে বড়ভাই হিসেবে মানে সেই হেডম্যান হালিমের কাছে আমি যত লক্ষ টাকা পাই তার সঠিক তদন্ত করে রির্পোট প্রদান করবেন। এটা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ রইলো। এ ব্যাপারে যত প্রমাণ প্রয়োজন তা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমারে মতো এরকম এই এলাকার অনেক মানুষের জায়গার দলিল নিয়ে হেডম্যান হালিম জালিয়াতি করেছে। এককথায় তাকে ভূমিদস্যূ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তাই আমি হেডম্যান হালিম কে আসামী করেছি।
এরশাদ মাস্টারের বিষয়ে দুলাল বলেন, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু তিনি তার প্রথম স্ত্রী ও তার তিন-জন সন্তান সহ মেরে পঙ্গু করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। রাঙামাটি, লংগদু, গুলশাখালী ইউনিয়নে কম পক্ষে ২০ থেকে ৫০ টা বিচার হয়েছে তার পর ও তাদের মিলানো যায় নাই। এরশাদ মাস্টার ও তার সহযোগীরা আমার বাসায় ঢুকে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার সাবেক স্ত্রী মরিয়মের সাথে পরকীয়া করে। বিভিন্ন মাধ্যমে যখন আমি জানতে পারি বা ধরতে পারলাম তখন আমি তাকে সাবধান করার চেষ্টা করি। কিন্ত তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে অনেক বার অনেক জায়গায় হয়রানি করেছে। এরশাদ মাস্টার নোয়াখালী মরিয়মের নিজ বাড়িতে রাত ২টা সময় পরকীয়া করতে গিয়ে এলাকার জনগনের কাছে আটক হয়। তখন এলাকার জনগন ৫লক্ষ টাকা দেন মোহরে এরশাদ মাস্টার ও মরিয়মের বিয়ে দিয়ে দেয়।
এছাড়াও এডভোকেট কামাল আমার প্রতিষ্ঠান নূর নাহার এগ্রো প্রজেক্ট এর মাছের ফিশারির বাঁধ ভেঙে আমার ১০ লক্ষ টাকার মাছ এক রাতের ভিতরে নিয়ে গেছে। এমনকি সে আমাকে মোবাইলে নানা রকম হুমকি দিয়েছে যে সে আমাকে এলাক্ াথেকে অস্তিত্বহীন করে ফেলবে।
এ ব্যাপারে আমি আমার এলাকার গণ্যমান্য ও সম্মানীয় ব্যাক্তি আমার বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য রহিম চেয়ারম্যান ভাইকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই। কারণ সে এই ব্যাপারটার সুষ্ঠু তদন্ত করে এর একটা সুরাহা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দূভাগ্যবশত দুই পক্ষের সমঝোতা হয়নি বলে উনি এর সমাধান করতে পারে নি। তারপরও তাকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এব্যাপারে তার সকল সহযোগিতার জন্য।
আব্দুল মালেক দুলাল দাদা ৩নং গুলশাখালী ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগনের মনোনিত বর্তমান ইউপি নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান পদর্প্রাথী। তিনি নির্বাচন শুধুমাত্র তার জনগনের চাওয়া থেকেই করেছে। মো আব্দুল মালেক দুলাল দাদা বলেন, আমার রাঙামাটি, গুলশাখালী ইউনিয়নের, চৌমুহনী বাজারের স্বপ্নচূড়া স্পোর্টিং ক্লাবের পনের শতক জমি, ক্লিনিকের জমি, রাজাপাড়ার নুরুন নাহার এগ্রো প্রজেক্টের সকল জমির একমাত্র ওয়ারিশগণ হিসেবে দাবি করতে পারবে আমার বর্তমান স্ত্রী নুরুন নাহার তানিয়া, আমি (মো আব্দুল মালেক দুলাল দাদা), আমার একমাত্র ছেলে মো মুনতাসির মালেক আয়াত, আমার একমাত্র মেয়ে ফতেমা তুজ জোহরা। এছাড়া আমার এই সকল সম্পত্তিতে আমার আর কোন ওয়ারিশগণ কখনো আইনত দাবি করতে পারবে না। তিনি আহব্বান করেন, আমরা সবাই এই কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই। ৩নং গুলশাখালী ইউনিয়নের সকল মানুষ মিলে জাতির জনক সোনার বাংলা তৈরীর কারিগড় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে অনুশরন করে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার বদ্ধ হয়ে সবাই কাদে কাদ মিলিয়ে কাজ করে যাই।