মুলাদীতে মামলার আসামি’র প্রকাশ্যে মাদক বাণিজ্য

কামরুন নাহার | ০০:৪৫, মার্চ ১৭ ২০২০ মিনিট

মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিনব কায়দায় চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্য। এলাকাটি নদীবেষ্টনী ও প্রত্যন্ত অঞ্চল বিধায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বসে মাদক ও জুয়ার আসর। ফলে দিন দিনই বেড়ে চলছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ধর্ষনের মতো নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। সূত্র জানায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আঃ জব্বার সরদারের তিন পুত্র রাসেল, মোস্তফা ও জহিরুল সরদার দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল জাতীয় দ্রব্য সংগ্রহ করে তা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিকিনিকি করে আসছিল। ফলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। বাদ যায়নি কোমলমতি স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আঃ জব্বার সরদার একসময় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, শিশু নির্যাতন ও শিশু পাচারসহ অশ্লিল নৃত্য ও জুয়ার আসর ছিল তার নিত্য দিনের সঙ্গী। তার ফলশ্র“তিতে তার তিন ছেলে রাসেল, মোস্তফা ও জহিরুল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুকৌশলে গরু চুরি করে এনে স্থানীয় হাট-বাজারের ইজারাদার ও চেয়ারম্যানের জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে তা সরবরাহ করে আসছিল। পরবর্তীতে মুলাদী থানার তৎকালীন এস.আই আঃ আজিজ লস্কর ও এ.এস.আই হোসেন আলী অভিযান চালিয়ে রাসেল গংদের নিকট থেকে ৩২ টি চোরাই গরু ও বিপুল পরিমান জাল সার্টিফিকেট উদ্ধার করে ধ্বংস করে দেয় তাদের গরু চুরির বাণিজ্য। পরবর্তীতে রাসেল, মোস্তফা ও জহিরুল জড়িয়ে পরে মাদক ব্যবসায়। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক একজন ইউপি সদস্য জানায়, আওয়ামীলীগ নেতা আঃ জব্বার সরদারসহ তার তিন পুত্রের বিরুদ্ধে মুলাদী থানাসহ আশ-পাশের জেলাগুলোতে বেশ কিছু ধর্ষন, চুরি, ডাকাতি, শিশু নির্যাতন ও শিশু পাচারসহ মাদক মামলা চলমান রয়েছে। জি.আর মামলা নং- ০১/২০২০ (মুলাদী), জি.আর মামলা নং- ৮৭/২০১৫ (মুলাদী), নারী মামলা নং- ৩৬/২০০৩ (মুলাদী), নারী মামলা নং- ১০৫/২০১৮ (কালকিনি), জি.আর মামলা নং- ৮২/২০১৭ (মুলাদী), এমপি মামলা নং- ৩৬/২০১৮ (মুলাদী), এম.পি মামলা নং- ১১৫/২০১৭ (মুলাদী), নারী মামলা নং- ৯২/২০১৪ (চট্টগ্রাম), জি.আর মামলা নং- ৩০/২০১৬ (উত্তরা)। উপরোক্ত মামলাসমূহ থাকা সত্ত্বেও নির্বিঘেœ তারা নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দিন জানায়, রাসেল, মোস্তফা ও জহিরুলের বিরুদ্ধে আমার কাছে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও রাসেলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সেই সূত্র ধরে এস.আই জি.এম আনিচুর জামান সফিপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন নদীর দক্ষিন পাড় পাতাবনে অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেফতার করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীরা পুলিশের নজরদারীতে রয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।