নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর উদ্বোধন হওয়া সেতুতে প্রথম টোল দিয়ে উঠেছে ডলফিন পরিবহনের একটি বাস। সেতুর উদ্বোধনের জন্য প্রশাসনের গাড়িগুলো পার হওয়ার পর তাতে ওঠে কুয়াকাটা থেকে বরিশালগামী এই বাসটি।
বাসের চালক মো. সাত্তার জানালেন, সব সময় ফেরিতেই পায়রা নদী পাড়ি দিতেন তিনি। সেতু চালুর খবর শুনে তিনি সেতুতে ওঠার প্রথম সুযোগ হারাতে চাননি। তবে টোলের টাকা বেশি বলে তিনি কিছুটা হতাশ।
সাত্তার বলেন, ‘পায়রা সেতুতে প্রথম টোল দিয়েছি আমি। ৩৪০ টাকা টোল দিয়েছি। ফেরির চেয়ে এই টোলের খরচ বেশিই। টোলের টাকা কমানো উচিত।’
এই বাসের যাত্রী রত্না জামান বলেন, ‘সেতুর প্রথম বাসের যাত্রী হয়ে ভালো লাগছে। আমরাই প্রথম চড়লাম। প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।’
সেতুর উদ্বোধনের দিনের সাক্ষী হতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের রুপাতলি মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন। তিনি জানান, প্রথম দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬০টির বেশি ছোট-বড় গাড়ি এই সেতু দিয়ে নদী পার হয়েছে।
সেতুর টোল প্লাজার কর্মী সজীব দাস বলেন, রোববার সকাল থেকে ফেরি দিয়েই যানবাহন পার হচ্ছিল। সেতুর উদ্বোধনের ঘণ্টা খানেক পর টোল প্লাজা খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকে সেতু দিয়েই গাড়ি পার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘টোল নিয়ে যানচালকরা বেশ ক্ষুব্ধ। তবে সরকার নির্ধারিত টোল এটি। আমাদের তো কিছু করার নেই। অনেকে আবার খুশিও হয়েছেন সেতুতে উঠে। আমাদেরও ভালো লাগছে। অনেকে সেতু দেখতে এসেছেন।’
পায়রা সেতুতে প্রথম টোল দিল যে গাড়ি
উদ্বোধনের দিন মামার সঙ্গে পায়রা সেতু দেখতে গিয়েছে শিশু আদিবা। তার মতো অনেকেই সেতু দেখতে সকাল থেকে ভিড় করেছেন।
এর আগে সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম সেতু ভ্রমণ করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর বহুল প্রতিশ্রুত সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি শেষ হয়েছে বরিশাল-কুয়াকাটা রুটের ফেরির দিন।
পায়রা সেতু চালু হওয়ায় বরিশাল থেকে বাসে কুয়াকাটা যেতে এখন সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার বা মোটরসাইকেলে আরও দ্রুত যাওয়া যাবে এই অঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলোতে।