বাবুগঞ্জে মন্ডপে বরাদ্দকৃত চাল ছাড় করাতে গিয়ে বিপাকে পূজা উদযাপন কমিটি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪৪, অক্টোবর ০৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের বাবুগঞ্জে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ২৫টি মন্ডপের অনুকুলে জেলাপ্রশাসকের বরাদ্দকৃত ১২হাজার ৫শত কেজি চাল (১২.৫টন) চালের উপর নজড় পরেছে সিন্ডিকেটের। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বরাদ্দকৃত চাল খাদ্য গুদামে ছাড় করতে গেলে ওসিএলএসডি (খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা) ফরিদা ইয়াসমিন তালবাহানা শুরু করে বলে অভিযোগ তোলেন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ। প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের খোকন নিপতী বলেন, ‘ওসিএলএসডি এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাল কেনার জন্য নেয় এবং কম মূল্যে চাল কেনার পায়তারা করেন’। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী পরিতোষ চন্দ্র পাল ও সাধারণ সম্পাদক রাজা দ্বিলীপ কুমার বলেন,‘আমরা ২৫টি পূজা মন্ডপের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ নিয়ে চাল ছাড় করাতে সকাল ১০টায় খাদ্যগুদামে যাই। গুদামে যথেষ্ট পরিমান ভালো চাল থাকলেও আমাদের প্রথমে নষ্ট ও নিম্ম মানের চাল দেওয়ার চেষ্টা করে ওসিএলএসডি । আমরা ওই চাল নিতে অপরাগতা জানালে তিনি তালবাহানা শুরু করে। একটি পক্ষ আমাদের কাছ থেকে অল্প দামে চাল ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তাকে জানাই। দুপুর ১টার সময় খাদ্যগুদামে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল ও ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ সরেজমিনে এসে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ভালো চাল দেয়ার ব্যবস্থা করেন’। উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ভাল চাল ছাড় করাতে পেরে খুব খুশি পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা। বাবুগঞ্জ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোসাঃ ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তারা যে চালা নিতে চায়নি সেটাও ভালো চাল। শুধু একটু লালচে দাগ পরছে। পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল বলেন, নষ্ট চাল দেয়া নিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে উত্তপ্ত কথা বিনিময়ের সংবাদ শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি সমাধান করেছি।