নলছিটিতে যৌতুকের দাবিতে স্কুল শিক্ষিকাকে কুপিয়ে জখম

কামরুন নাহার | ০০:৩৬, মার্চ ১৫ ২০২০ মিনিট

নলছিটি প্রতিনিধি ॥ ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে এক স্কুল শিক্ষিকাকে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক সেবী স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ার ৯নং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে। আহত মারুফা আলম পপি (৩৫) তিমির কাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী হাওলাদারের মেয়ে। আহতকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত মারুফা আলম পপি’র স্বামী ও একই এলাকার আব্দুল ওহাব খানের ছেলে নুরে আলমকে আটক করেছে নলছিটি থানা পুলিশ। আহতের মা বিউটি বেগম জানায়, ২০ বছর আগে আব্দুল ওহাব খানের ছেলে নুরে আলম এর সাথে তার মেয়ে মারুফা আলম পপির বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালে নুরে আলম ৭শ বোতল ফেন্সিডিল সহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়। ওই মামলায় নুরে আলমের যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত। নুরে আলম সেই মামলায় ১ বছরের জামীন পায়। নুরে আলম দির্ঘ দিন যাবৎ ব্যবসায়ের জন্য তার স্ত্রী মারুফার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় ঘুমে থাকা মারুফাকে চাকু দিয়ে বেধরক কুপিয়ে আহত করে স্বামী নুরে আলম। পরে মারুফার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে নুরে আলম পালিয়ে যায়। আর বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে তাদের পারিবারের সকলকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকীও দেয়। এমনকি জেল থেকে বেরিয়ে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে দাবি করেছে পরিবারের স্বজনরা। মারুফা আলম পপি’র মা বিউটি বেগম আরো বলে, এক মাসে এই বিষয়টি নিয়ে পপি নলছিটি থানায় একাধিকবার অভিযোগ দেয়। নলছিটি থানার ওসি বিষয়টি বেশ কয়েকবার সমাধার করে দেন। এমনকি মারুফার ছেলেও ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ দেয়। আহতের স্বজনদের দাবি মাদক ব্যাবসায়ী ও যৌতুক লোভী নুরে আলমের বিরুদ্ধে যাহাতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং তার দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি প্রদান করা হয়।