দেশের দক্ষিণের জনপথ পটুয়াখালী শহর এবং সংলগ্ন এলাকাগুলোতে চলছে বহুমুখী উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৩৯, অক্টোবর ০৫ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চলমান ও গৃহীত একাধিক টুইন সড়ক, নান্দনিক লেক আর ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গ্রাম হবে শহর, আর স্বাভাবিক প্রবাহে ফিরবে শহরের ঐতিহ্যবাহী খালগুলো। শহরের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকার মানুষজনের মেলবন্ধন হবে। সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে জেলা শহরটি এখন অনেকটাই ব্যস্ততম একটি শহরে পরিণত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতের থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুরের শহরগুলোর আদলে একটি উন্নত শহরে পরিণত হবে পটুয়াখালী। এমন পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে পটুয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে এর আশেপাশের ইউনিয়নগুলোকে আরও কাছাকাছি সংযুক্ত করতে বেশ কিছু আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নকে জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করার পাশপাশি জেলার ঐতিহ্যবাহী বহালগাছিয়া খালকে আবারও তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সদর উপজেলার পেছনের বাঁধটি অপসারণ করে সেখানে ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ নির্মান করা হবে। একই ভাবে বহালগাছিয়া খালের উপর নির্মিত গরুর বাঁধ অপসারণ করে সেখানেও ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। যা অনেকটা হাতিরঝিলের ব্রীজের আদলে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের সঙ্গে পটুয়াখালী পৌর শহরকে সংযুক্ত করতে কুড়িরখাল এলাকায় একটি ৪৫ মিটারের ব্রীজ নির্মান করা হবে। এর ফলে জেলা শহরের সঙ্গে ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই, মরিচবুনিয়া এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নতুন একটি সংযোগ স্থাপন করা হবে। একই ভাবে পটুয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে কালিকাপুর ইউনিয়নের নতুন সংযোগ স্থাপন এবং ফুলতলা খালটি প্রবাহমান করতে বাঁধ অপসারন করে সেখানে ৪৫ মিটারের একটি ব্রীজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্ব বিবেচনা করে মোট ১২ টি ব্রীজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহবান করে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর শতবর্ষ পরিকলল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিতে গ্রামেও শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং খাল ও জলাধারগুলোকে তার স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনতেই এই ব্রীজগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে এসব ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। পটুয়াখালী জেলাজুড়ে উন্নয়নের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম পায়রা সমুদ্র বন্দর, একাধিক পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্র, সাব মেরিন ক্যাবল ষ্টেশন, শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, লেবুখালী ব্রীজ আর কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র ঘেরা উন্নয়নের যোগসূত্র হবে পটুয়াখালী পৌরসভা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উন্নত শহর হবে পটুয়াখালী—এমনটাই আশা নাগরিকদের।