বরিশালে কথিত শ্রমিক কল্যানের নামে শ্রমীকদের রক্ত চুষে খাচ্ছে নামধারী কতিপয় নেতারা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:০৪, অক্টোবর ০২ ২০২১ মিনিট

সরদার সুমন ॥ বরিশালে কাথিত শ্রমিক কল্যাণ ফি’র নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় বন্ধ ও ভাড়া বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি আদয়ের লক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালকরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সামনের সড়ক আটকে ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ পালন করেন চালকরা। শ্রমিকরা জানান, আমাদের ঘাম ঝড়ানো টাকা দিয়ে কথিত এ সংগঠনের নেতার ফুর্তি করে বেড়ান। এমন কি তারা নিত্য নতুন মটর সাইকেল কিনে চালায়। আবার আমদের এ টাকা দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাদের পালেন আমাদের কিছু নেতারা। আমারা টাকা দিতে না চাইলে পুলিশ দিয়ে দড়িয়ে দেয়। আমদের মারধর করে, আবার বলেন, বড় নেতাদের টাকা দিতে হবে। যদি কোন চালক টাকা দিতে না পারে তাহলে তারা আমাদের গাড়ি ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে আটকে রাখে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। শ্রমিকরা আরো বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে আমাদের আয় কমেছে। এর মধ্যে মাহিন্দ্রা মিশুক (থ্রি হুইলার), সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ শ্রমিক কল্যাণ ফি’র নামে ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যা আগে ছিলো ২০ টাকা। নিয়মিত চাঁদা আদায় করলেও এই সংগঠন থেকে শ্রমিকরা কোনো সহায়তা পান না। এ ছাড়া পার্কিং স্পেস না থাকায় প্রায়ই ট্রাফিক পুলিশের মামলার শিকার হন তারা। তারা বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সংগঠনের কোনো লোক আমাদের পাশে থাকে না। শুক্রবার রাস্তায় যাত্রী কম থাকে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাড়া কম নেয় না মালিকরা। আমাদের নানা সমস্যার কথা অনেকবার বলেছি ইউনিয়নকে। তারা কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেইনি। শ্রমিকদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ৬০০ টাকা ভাড়া ৫০০ টাকা করতে হবে। শুক্রবার গাড়িভাড়া অর্ধেক নিতে হবে মালিকদের। লঞ্চ ঘাট থেকে নতুল্লাবাদ ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা করতে হবে। বরিশাল জেলা অটোরিক্সা, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ের শ্রমিদের কল্যান ফি বাবদ চাঁদা ২০ টাকা করতে হবে এবং সেই টাকা দিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। গাড়ি পার্কিং এর জন্য স্থান নির্ধারণ করতে হবে। শ্রমিকদের বিপদে তাদের পাশে থাকতে হবে। সিএনজি চালক মো. কালাম বলেন, শনিবার চার জন লোক নিয়ে নথুল্লাবাদ থেকে লঞ্চঘাট আসছি। এতে আয় হয়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু লঞ্চ ঘাট আসার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রমিক ইউনিয়নের কল্যান ফির বাবদ ৩০ টাকার একটি রশিদ দেওয়া হয়। যা আগে ছিল ২০ টাকা। ইউনিয়নের মেম্বার সবুজ জমাদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন থেকে ২০ টার পরিবর্তে ৩০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সকল শ্রমিক এক হয়ে ছয় দফা দাবি নিয়ে গাড়ি বন্ধ করে বিক্ষোভ করি। পরে সংগঠনের কিছু লোক এসে আমাদের সঙ্গে খুব শিগগিরই বসবে বলে আশ্বাস দেওয়ার পরে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। বরিশাল জেলা অটোরিক্সা, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক শামিম বলেন, ২০ টাকার পরির্বতে ৩০ টাকা নেওয়ার কারণে শ্রমিদের সাথে একটু ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে তা সমাধান হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর শ্রমিকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তবায়ন করবো।