বাতাসে কাশফুলের দোলায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:১১, সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এসেছে শরৎকাল। আকাশে সাদা মেঘের ভেসে চলা আর বাতাসে কাশফুলের দোলায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির অপরূপ এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। বরিশাল স্টেডিয়াম, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ত্রিশ গোডাউন এবং দোয়ারিকা ও খয়রাবাদ সেতুর ঢালে চোখে পড়বে এই দৃশ্য। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে চিত্ত বিনোদনের জন্য কাশফুলের সাথে মিতালী করতে যান তারা। সেলফি আর পরিবার-স্বজন নিয়ে ছবি তুলে তারা মনের খোরাক যোগান। শরৎকালে কাশফুল ঘিরে পর্যটকদের আনাগোনা হয় এসব স্থানে। তবে সৌন্দর্য বিকিরণ ছাড়াও কাশফুলের ওষুধি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুব্রত কুমার দাস। বরিশাল আউটার স্টেডিয়ামে ঢুকতে ডান দিকে চোখে পড়বে শুভ্র কাশফুলের দোলাচল। উপরে সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানো আর কাশফুলের দোলায় যে কারো মন পুলকিত হবে। প্রকৃতিপ্রেমীরা বিকেলে কাশবনের মধ্যে ঘোরাঘুরি আর সেলফি-ছবি তুলে কেউ বা মডেলিং করে মনের প্রশান্তি খুঁজে নেন। শুধু আউটার স্টেডিয়াম নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাসেও চোখে পড়বে একই দৃশ্য। শিক্ষার্থী ছাড়াও বাইরের বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী এসে ক্যাম্পাসে মিতালী করে কাশফুলের সাথে। ক্ষণিকের জন্য হলেও তারা মিশে যান প্রকৃতির সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাশফুলের দর্শনার্থী কানিজ ফাতেমা ও তানিয়া আক্তার বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি তারা। কাশফুলের বাগানে বেড়াতে ভালোই লাগছে তাদের। নিজের মতো করে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে বেড়াতে যান তারা। বরিশাল স্টেডিয়ামের কাশফুল ঘিরে শেষ বিকেলে চোখে পড়ে নতুন প্রজন্মের মডেলিং। স্টেডিয়ামে কাশফুলের সাথে মিতালী করতে যাওয়া নুসরাত জাহান কোহেলী, ঋতু দাস, মেঘলা আক্তার ও চমক আক্তার বলেন, কাশফুলের দোলাচল প্রকৃতিপ্রেমী যে কারোর মনে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্তি জোগাবে। মনের প্রশান্তির জন্যই স্টেডিয়ামে বেড়াতে এসেছেন তারা। এছাড়াও বরিশালের দোয়ারিকা সেতু ও খয়েরাবাদ সেতুর ঢালে এবং নগরীর ত্রিশ গোডাউন রোডের পাশসহ বিভিন্ন স্থানে শরতের ঝিরঝির বাতাসে দোল খাচ্ছে কাশফুল। সৌন্দর্য বিকিরণ ছাড়াও কাশফুলের ওষুধিগুণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুব্রত কুমার দাস। তিনি বলেন, কাশফুল বহুবর্ষী ঘাসজাতীয় একটি উদ্ভিদ। চরাঞ্চল, নদীর তীর কিংবা রুক্ষ জমিতে প্রাকৃতিকভাবেই এই গাছের জন্ম নেয়। লম্বায় এটি ৩ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরৎকালে কাশফুলের দোলা মনে আলাদা প্রশান্তি তৈরি করে। কাশফুল গাছের মূল দিয়ে পিত্তথলিতে পাথরের চিকিৎসা করা যায়। চর্মজাতীয় রোগের চিকিৎসায়ও কাশফুল বেশ উপকারী বলে তিনি জানান।