দক্ষিণাঞ্চলে চারমাস ধরে পেনশনের ভাতা বন্ধ ৫ শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীর

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:৩০, সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলে বিটিসিএল ও সাবেক টিএন্ডটি বোর্ডের অবসর প্রাপ্ত ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ৪ মাস ধরে অবসর ভাতা না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইতোমধ্যে তাদের জীবনে একটি নিরানন্দ ঈদ-উল-আযহা অতিবাহিত হয়েছে। অক্টোবর মাসে দূর্গাপুজাও আসন্ন। কিন্তু সরকারী অবসরপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসবের আনন্দতো দূরের কথা এখন স্বাভাবিক জীবনধারণ দায় হয়ে পড়েছে। অন্য সব সরকারী প্রতিষ্ঠানের মত সাবেক টিএন্ডটি বোর্ড ও বর্তমান বিটিসিএল থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাপ্য অবসর ভাতা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে পেয়ে আসছিলেন। মন্ত্রণালয়ে আওতাধীন জেলা এবং বিভাগীয় অর্থ ও হিসাব বিভাগের অফিস থেকে এসব ভাতা মাসের শেষে ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ হয়ে আসছিল। এসব চেক গ্রহণ করতে পেনশন ভোগীদের মাসের শেষে জেলা-উপজেলা হিসাব অফিস সমূহে ধর্ণা দিয়ে নানা হয়রানীরও শিকার হতে হচ্ছিল। এ পরিস্থিতি উত্তরণে সরকার পেনশন গ্রহীতার ব্যাংক হিসেবে সরাসরি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে অবসর ভাতা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে আলোকে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের এসব পেনশন গ্রহীতাগণও তাদের ব্যাংকের হিসেব নম্বরসহ সমুদয় কাগজপত্র বরিশাল বিভাগীয় হিসাব দপ্তরসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা দপ্তরে জমা দেয়ার পরে গত জুন মাস থেকে আর কোন অবসর ভাতা পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন জেলার হিসাব কর্মকর্তদের সাথে অলাপ করা হলে তারা জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা বিটিসিএল’র সব পেনসন ভোগীদের অবসর ভাতা ইএফটি’র মাধ্যমে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসেবে প্রেরণের লক্ষে সব তথ্য উপাত্ত সদর দপ্তরে প্রেরণ করেছি অনেক আগে। দেশের বেশীরভাগ এলাকায়ই বিষয়টি সুরাহা হলেও বরিশাল বিভাগে তা এখনো পৌঁছেনি। তবে খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক। এদিকে বিটিসিএল’র একাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দীর্ঘ ৪ মাস পেনশনের টাকা না পেয়ে তাদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা জানিয়েছেন। অর্থের অভাবে অনেকেরই চিকিৎসা পর্যন্ত বন্ধের পথে। অনেক কণ্যাদায় গ্রস্থ পিতা অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পর্যন্ত পারছেন না। অনেকে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ির মালিকের গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে। অনেক পরিবারেরই তাদের প্রতিদিনের ব্যয় মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে।