বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৫১, সেপ্টেম্বর ২১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা কিশোরিকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আমতলী হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এঘটনায় মামলার পর তালতলী থানার পুলিশ ধর্শক শরীফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে কারাগাড়ে পাঠিয়েছে। ধর্ষক শরিফুল ইসলাম (৩৫) ঢাকার গাজীপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের পিটি পাড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে। সে তালতলী নির্মানাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আউট প্রসেসিং প্রোকৌশলী হিসেবে কাজ করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবার ঢাকার গাজীপুর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সেখানে কিশোরীর পরিবারের বড় বোনের সাথে প্রায় পাঁচ বছর ধরে পরিচয় ছিল ধর্ষক শরীফুল ইসলামের। এই সুবাদে ওই কিশোরির বাসায় তার নিয়মিত যাতায়ত ছিল। এই সুযোগে গত ৭-৮ মাস ধরে ধর্ষিতা কিশোরী এবং শরিফুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গরে ওঠে। একপর্যায়ে গত ৮ দিন পূর্বে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শরিফুল ঢাকার গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে বরগুনার তালতলী বন্দর এলাকার কবরস্থান রোডের জামাল মাষ্টারের একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন এবং সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। ধর্ষনের পর কিশোরী শরিফুলকে বিয়ের জন্য বার বার বললেও শরীফ টালবাহানা করে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী এক পর্যায়ে ঘটনাটি গোপনে পাশের বাসার লোকজনকে জানালে তারা সোমবার দুপুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের খবর দেয় তাদের মাধ্যমে তালতলী থানা পুলিশকে খবর দিলে সোমবার বিকেল ৪টার সময় ওই কিশোরীকে ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে সোমবার রাতে তালতলী থানায় অভিযুক্ত শরিফুলকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তালতলী থানা পুলিশ সন্ধ্রার পর অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শরিফুলকে তালতলী বন্ধর থেকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে থাকে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যআজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিঞ্জ বিচারক মো. সাকিব হোসেন তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হজতে পাঠান। এবং ধর্ষিতা কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আমতলী হাসপাতালে পাঠায়। ধর্ষিতা কিশোরী জানায় শরিফুল ইসলাম আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার গাজীপুর থেকে বরগুনার তালতলী নিয়ে এসে ভাড়া বাসায় রেখে আমাকে ধর্ষন করে। আমি বিয়ে জন্য চাপ দিলে সে নানা টালবাহানা করে। আমি এঘটনা বিচার চাই। ধর্ষিতার মা কান্না জড়িত কন্ঠে জানায় আমার মেয় মাদরাসায় ৮ম শ্রেণিতে পরাশনা করে। তাকে তিম্যে ছলনা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শরিফুল বরগুনার তালতলী নিয়ে এসে ধর্ষন করে। আমি ধর্ষক শরিফুলের কঠোর শাস্তির দাবী জানাই। তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর ধর্ষক শরিফুলকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠারনো হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আমতলী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।