ববিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় নাটকীয় মোড়

কামরুন নাহার | ০১:৫৩, মার্চ ০৯ ২০২০ মিনিট

মোঃ ইলিয়াস, ববি প্রতিনিধি ॥ সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রদল কর্মী জান্নাতুল নওরিন ঊর্মিকে মারধর এবং জ্যামিতির কাটাকম্পাস দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে নির্যাতনের ঘটনাটিতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তাকে নির্যাতনের ওই ঘটনাটি সাজানো নাটক এবং অপপ্রচার বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষার্থীরা। এমনটি দাবি করে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে এবং একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তবে এই আন্দোলন নিয়ে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অপর একটি অংশ। তাদের অভিযোগ ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতেই আন্দোলনের নাটক সাজানো হয়েছে। আর এর পেছয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং ক্ষমতাসিন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও তুলেছেন তারা। এদিকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কিছু দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রকার এবং প্রচার হয়ে আসছে। যার কিছু ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য হলেও বেশিরভাগ ঘটনা নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবি তুলে বলেন, সম্প্রতি গণিত বিভাগের যে ছাত্রীর ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে সে ঘটনাটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত। ভিত্তিহীন এ অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয়ভাবে নেতিবাচক ও অনিরাপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। তারা দাবি করে বলে, আমাদের ক্যাম্পাস দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোর তুলনায় অনেক নিরাপদ। এখানকার শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যত্মশীল। কিন্তু ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য একটি পক্ষ গণমাধ্যমে নিজেদের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যে ঘটনার সাথে শিক্ষকদেরও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই আমরা এই অভিযোগের কঠোর বিরোধীতা করছি। পাশাপাশি শিক্ষকদের নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান বক্তারা। পাশাপাশি এই ঘটনা সত্য বলে প্রমানে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারী গণিত বিভাগের ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বরিশাল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আলীম সালেহী’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী একেএম আরাফাত, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুজয় বিশ্বাস শুভ, জারিন তাসনিম ডায়না, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আবির হাসান প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে গণিত বিভাগের ছাত্রী জান্নাতুল নওরিন ঊর্মিকে মারধর এবং গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্যামিতি বক্সের কাটা কম্পাস দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ইন্ধোনে মুখোশধারী কতিপয় ছাত্র তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ঊর্মির। তবে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত নওরিনকে প্রথমে নিজ বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হলেও অবস্থার অবনতি ঘটলে পাঁচ মার্চ সকালে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘটনা করে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার ০৭ মার্চ এই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস। মোঃ ইলিয়াস, ববি প্রতিনিধি ॥ সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রদল কর্মী জান্নাতুল নওরিন ঊর্মিকে মারধর এবং জ্যামিতির কাটাকম্পাস দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে নির্যাতনের ঘটনাটিতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তাকে নির্যাতনের ওই ঘটনাটি সাজানো নাটক এবং অপপ্রচার বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষার্থীরা। এমনটি দাবি করে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে এবং একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তবে এই আন্দোলন নিয়ে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অপর একটি অংশ। তাদের অভিযোগ ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতেই আন্দোলনের নাটক সাজানো হয়েছে। আর এর পেছয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং ক্ষমতাসিন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও তুলেছেন তারা। এদিকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কিছু দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রকার এবং প্রচার হয়ে আসছে। যার কিছু ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য হলেও বেশিরভাগ ঘটনা নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবি তুলে বলেন, সম্প্রতি গণিত বিভাগের যে ছাত্রীর ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে সে ঘটনাটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত। ভিত্তিহীন এ অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয়ভাবে নেতিবাচক ও অনিরাপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। তারা দাবি করে বলে, আমাদের ক্যাম্পাস দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোর তুলনায় অনেক নিরাপদ। এখানকার শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যত্মশীল। কিন্তু ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য একটি পক্ষ গণমাধ্যমে নিজেদের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যে ঘটনার সাথে শিক্ষকদেরও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই আমরা এই অভিযোগের কঠোর বিরোধীতা করছি। পাশাপাশি শিক্ষকদের নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান বক্তারা। পাশাপাশি এই ঘটনা সত্য বলে প্রমানে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারী গণিত বিভাগের ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বরিশাল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আলীম সালেহী’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী একেএম আরাফাত, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুজয় বিশ্বাস শুভ, জারিন তাসনিম ডায়না, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আবির হাসান প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে গণিত বিভাগের ছাত্রী জান্নাতুল নওরিন ঊর্মিকে মারধর এবং গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্যামিতি বক্সের কাটা কম্পাস দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ইন্ধোনে মুখোশধারী কতিপয় ছাত্র তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ঊর্মির। তবে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত নওরিনকে প্রথমে নিজ বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হলেও অবস্থার অবনতি ঘটলে পাঁচ মার্চ সকালে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘটনা করে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার ০৭ মার্চ এই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস।