সংকটে পিরোজপুরের ২২ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১২, সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের সাত উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন। বাকি ৬টি শূন্য। ৫২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র দেখাশোনার দায়িত্বে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আছেন ৩০ জন। ২২টিতে মেডিক্যাল অফিসার নেই। এতে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণসহ বহুমুখী সংকটে পড়েছে পিরোজপুরের ২২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গ্রামে গর্ভবতী নারীদের নিরাপদ ডেলিভারি, শিশুদের টিকাদান ও ভিটামিন ক্যাপসুলসহ বিনামূল্যে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র। অযত্ন ও অবহেলায় এরই মধ্যে ২২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থাপনা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার লাখো মানুষ। তবে সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাম কৃষ্ণ দাস। জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পিরোজপুরের সাত উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন। বাকি ৬টি শূন্য। ৫২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র দেখাশোনার দায়িত্বে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আছেন ৩০ জন। ২২টিতে মেডিক্যাল অফিসার নেই। এতে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জরাজীর্ণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানি ও বিদ্যুৎসহ নানা সমস্যার কথা জানান স্থানীয় লোকজন। জেতদাসকাঠী কলেজের শিক্ষক আলী আকবর জানান, অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত হলেও তারা ১২টা বা ১ টায়ও আসেন না। রোগীরা দুই-তিন ঘন্টা অপেক্ষা করে চিকিৎসার জন্য চলে যান শহরে। চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও ওয়ার্ডবয়দের চিকিৎসা এবং ওষুধ দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমকে নিয়ে কলাখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান হালিমা বেগম। তিনি জানান, তিন দিন ধরে বাচ্চার কাশি, সকাল ১০টার দিকে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকারি ডাক্তার দেখাতে। ১১টার দিকেও ডাক্তারের দেখা পাননি। বহুমুখী সংকট নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মেডিক্যাল কর্মকর্তারা। অবকাঠামোসহ অন্য অসুবিধার কারণে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করছেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাম কৃষ্ণ দাস । তিনি জানান, এসব এলাকার দরিদ্র মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধপত্রের ওপর নির্ভরশীল থাকে। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্যা শিগগিরই সমাধানের চেষ্টা চলছে।