পিরোজপুর ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতির প্রেমিকা-সম্পাদকের স্ত্রী

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:০১, সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেড় যুগ পর গঠিত পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কমিটিতে ছাত্রলীগনেতা, অছাত্র, প্রবাসী, চাকরিজীবী, সভাপতির প্রেমিকা ও সম্পাদকের স্ত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের একটি গ্রুপ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিযোগ দিয়েছেন। দলীয় একাধিক সূত জানায়, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ফিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে ৩৪৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ৫ জুন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাসান আল মামুনকে ফিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, মো. বদিউজ্জামান রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক, মো. তানজিদ হাসান শাওনকে জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি, সালাউদ্দিন কুমারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আট সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটি করার তিন বছরের বেশি সময় পর এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কমিটির জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুনের প্রেমিকা শাম্মি আক্তার রোশনিকে ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী শেখ নিশাত আক্তার নিশুকে কমিটির ২ নম্বর সদস্য, ছোট বোন আমেনা আসলামকে সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ও অন্য এক বোন তাহমিনা আক্তার জুঁইকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এদের কেউই ছাত্রদলের কোনো কর্মকাণ্ডে না থাকলেও ব্যক্তিগত ও আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে পদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, অন্যদিকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. তানিম সরদার ঢাকার একটি গার্মেন্টসে ও আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তমিজুল ইসলাম খান একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করছেন। বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাহিমকে এ কমিটির ৩১০ নম্বর সদস্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতির হাসান আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. বদিউজ্জামান শেখ রুবেল বলেন, কমিটির সব নাম কেন্দ্রীয় কমিটি দিয়েছেন। এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ফজলুর রহমান খোকন বলেন, জেলার সভাপতি-সম্পাদকের সাজিয়ে দেওয়া কমিটি আমরা অনুমোদন দিয়েছি মাত্র। সেখানে কোনো বাণিজ্য বা স্বজনপ্রীতির খবর আমার জানা নেই।