চালু হওয়ার অপেক্ষায় পটুয়াখালীর দুই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৯:৩৪, সেপ্টেম্বর ১৫ ২০২১ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলিপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে উন্নতমানের দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এ বছরের জুনে স্থাপনা দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। এই অবতরণকেন্দ্র দুটি চালু হলে সমুদ্র থেকে আহরিত মাছের মান অক্ষুন্ন থাকার পাশপাশি মাছের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালে জেলার কলাপাড়ায় মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে চার বছর। ২০১৬ সালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। আর এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। তবে দেখা যায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সঙ্গে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা।
দেশের তিন জেলার চারটি স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ মৎস্য অবতরন কেন্দ্র নির্মানের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের পরিচালক (উপ সচিব) জামাল হোসেন মজুমদার জানান, পটুয়াখালীর মহিপুর এবং আলিপুরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। অবতরণ কেন্দ্রে মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে উন্নত মানের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। থাকছে ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের ওয়ার্কশন সেট, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়ৎদারদের অফিস কক্ষ, স্যানিটেশন ও পয়ঃনিষ্কাশনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা। এছাড়া মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে সাত হাজার স্কয়ার ফিটের ট্রাকস্ট্যান্ড। সব কিছু মিলিয়ে এটি একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবতরন কেন্দ্রটি চালু হলে ট্রলার মালিক, জেলে, আড়ৎদার, পাইকার সহ সকলেই এক ছাদের নিচে মাছ ক্রয়-বিক্রয় এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন। এতে মৎস্য খাতের ভোগান্তি এবং সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে ইদ্রিস ফকির বলেন, ‘এহন সাগর দিয়া মাছ লইয়া আইলে সিন্ডিকেট এর মধ্যে পড়তে হয়, তিন/চার জন পাইকার যুক্তি কইরা মাছের দাম কমাইয়া দেয়। কিন্তু এই কেন্দ্র চালু হইলে সব পাইকার এক জায়গায় থাকপে। এতে কইরা মাছের ভালো দাম ওঠবে।’
মহিপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হোসেন জানান, মূলত সমুদ্র থেকে আহরিত মাছের অপচয় রোধ এবং মান অক্ষুন্ন রেখে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতেই এই অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। পাশপাশি এই কেন্দ্র দুটি থেকে ১ দশমিক ২৫ ভাগ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।’