কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দাপটে ইউপি সদস্যর পরিবার জিম্মি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:৫৮, সেপ্টেম্বর ১৩ ২০২১ মিনিট

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সোহাগ মুন্সীর অত্যাচারে ওই ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারের মাঝে প্রতিনিয়ত অংতক বিরাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোশাররফ মুন্সির পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন সভাপতি হবার পর থেকে ওই ইউনিয়েন সাধারন মানুষের বাড়িঘর জমি দখল করে নিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কিছু বললে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকেন। গতকাল সোমবার সকালে সোহাগ মুন্সী একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোশাররফ মুন্সীর জমিতে জোরপূর্বক চাষাবাদ শুরু করেন, তাকে চাষাবাদ করতে বারণ করলে তিনি তার দল বল নিয়ে জমির মালিকদেরকে মারধর করেন। কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ণের ইউপি সদস্য মোশাররফ মুন্সির অভিযোগ করেন, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহাগ মুন্সীর নেতৃত্বে একটি বাহিনী গতকাল সোমবার সকালে আমার জমিতে চাষাবাদ করতে নামলে আমি তা বন্ধ করতে বলি, কিন্তু চাষাবাদ বন্ধ না করে আমার লোকদের মারধর করেন, পরে আমার বাড়ির ভিতরে ঢুকে ইট, দা, ছেনী ও লাঠি দিয়ে ঘর ভাংচুর করে এবং ইউপি সদস্য মোশাররফ মুন্সি কে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। ইউপি সদস্য তখন কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোন করলে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ইউপি সদস্য কে উদ্ধার করেন এবং দুই সন্ত্রসীকে পুলিশ আটক করেন। অভিযোগে আরও বলেন সোহাগ মুন্সীর সন্ত্রসীরা মোশাররফ মুন্সির পরিবারের অনেক জমি জোরপূর্বক চাষাবাদ করেন। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় সরকারীভাবে সাহায্য সহযোগীতা আসলে সেখানে গিয়েও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং বিভিন্ন মহল থেকে চাঁদাও দাবী করেন। মিঠাগঞ্জ ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশাররফ মুন্সি জানান, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ও ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে উল্টো বণ্টন মামলা করেন সোহাগ মুন্সী। ওই মামলায় আমি রায় পাই। এর ফলে তারা আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন ও হয়রানী করে। সেখানেই ক্ষ্যান্ত না হয়ে আমার ইউপি এলাকায় সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা আসলে আমাকে বিতরণ করতে দেয় না বরং সেখান থেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি এই অপকর্মের সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহাগ মুন্সীর জানান, আমার ৩৩ শতাংশ জমি আমি চাষ করছি, বিরোধীও জমিতে চাষাবাদ করি নাই। আমার দুই জন লোককে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন জানান, আমার জানা মতে ঐ জায়গা মোশাররফ মুন্সীর কিন্তু বিভিন্ন সময় সোহাগ মুন্সী নিজের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাাফিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না, সন্ধ্যায় থানায় আসেন।