জাতীয় গ্রীডের পশ্চিম জোনে গোলযোগ দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলায় বিদ্যুত বিপর্যয়

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:৩৫, সেপ্টেম্বর ০৯ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় গ্রীডের পশ্চিম জোনে গোলযোগের কারণে গত বুধবার দিনগত রাত পৌনে ৯টা থেকে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলা অন্ধকারে ছিল। এ গোলযোগের কারণে একযোগে নগরীর সামিট পাওয়ারের ১১০ মেগাওয়াট ও ভেলার ২২৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার স্টেশন দুটি সহ পশ্চিম জোনের বেশীরভাগ বিদ্যুৎ উপাদন কেন্দ্র ট্রিপ করে বন্ধ হয়ে যায়। একই সাথে ভোলা-বরিশাল ২২৫ কেভি, বরিশাল-বাগেরহাট-খুলনা ১৩২ কেভি এবং ভেড়ামাড়া-ফরিদপুর-বরিশাল ডবল সার্কিট ১৩২ কেভি এবং বরিশাল-পটুয়াখালী সিঙ্গেল সার্কিট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনও ট্রিপ করে। তবে এ গোলযোগে পর পরই বিপর্যয় মোকাবেলায় খুলনা আঞ্চলিক লোড ডেসপাস সেন্টার এবং বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে গ্রীড সাব-স্টেশনের প্রকৌশলীও কর্মীরা ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ইষ্টার্ন জোনের সহায়তায় প্রথমে ওয়েষ্টার্ণ জোনের সঞ্চালন লাইন সচল করতে সক্ষম হয়। রাত ৯টার পরপরই বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রীড সাব-স্টেশনে অতি সীমিত ‘স্টেশন লোড’ পৌঁছে দিয়ে সকল ১৩২/৩৩ কেভি সাব-স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে। রাত সোয়া ৯টায় বরিশালে প্রথমে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হলেও সাড়ে ৯টার দিকে দেড়শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বরিশাল গ্রীড সাব-স্টেশনে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে এ গ্রীড বিপর্যয়ে পশ্চিম জোনের বেশীরভাগ পাওয়ার স্টেশনই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হয়নি। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী ও ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীদের মতে, রাতের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল সহ ওয়েষ্টার্ণ জোনের বেশীরভাগ পাওয়ার স্টেশন চালু হলে মধ্য রাতের পর থেকে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ভোলা ২২৫ মেগাওয়াটের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করতে সকাল হয়েছে। কিন্তু কি কারণে জাতীয় গ্রীড ট্রিপ করে এ বিপর্যয় হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানাতে পারেননি।