বরিশালে চলছে অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা

কামরুন নাহার | ২১:১৮, মার্চ ০৬ ২০২০ মিনিট

বরিশালে মাদক দ্রব্য নিরসনে প্রশাসনের তৎপর অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা একটু নড়ে চড়ে বসেছে। এতে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কৌশল পাল্টে অভিনব কৌশল অবলম্বন করছে। আর সেই অভিনব কৌশলের আড়ালে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি ফিল্মি কায়দায় অভিনব কৌশল অবলম্বন করে পেটের ভিতরে করে মাদক বহন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বরিশাল জেলায় আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য জানা যায়। আর সেই চাঞ্চল্যকার ঘটনার পেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ীদের অভিনব কৌশলের ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। এদিকে মাদক দ্রব্য নিরসনে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধিতে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কৌশল পাল্টাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে মাদক বিক্রি করে আসছে। এর মধ্যে মোবাইলের কেসিং, ম্যাচ বাক্স, দিয়াসলাইসহ নানা কিছুর মধ্যে করে মাদক বহন সহ বিক্রি করে আসছে। তবে বর্তমানে জীবন্ত মানুষের পেটের ভিতরে করে এই ব্যবসার বড় বড় চালান বরিশালে আসছে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশাসনের চোখ সব সময় পুরুষদের উপর থাকাতে মহিলাদের দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। আর সেসব মাদক বিক্রিকারী মহিলারা মুখোশের আড়ালে দিব্বি মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানা যায়, ‘ভারত ও মায়ানামারে একটি বিশেষ ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা এই অভিনব কৌশল রপ্ত করে থাকে। আর সেই অভিনব কৌশল রপ্ত করার মাধ্যমে মাদক ব্যবাসায়ীরা খুব সহজে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক পাচার ও ব্যবসা করে আসছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের বাড়ির প্রধান ফটকে, দরজার সামনে এবং বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেধারছে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভারতে গিয়ে পেটের ভিতরে ইয়াবা টেবলেট বহন করার ট্রেনিং নিয়ে হাজার হাজার পিছ ইয়ার টেবলেট নিয়ে এসে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তবে প্রশাসনের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে মহিলা মাদক ব্যবসায়ী ও বিক্রেতার সংখ্য বেড়ে গেছে। আর পুলিশ প্রশাসনের নজর পুরুষদের দিকে থেকে যায়। এদিকে মহিলা মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের নজর এড়াতে রোরখা পরিহিত অবস্থায় মুখ ঢেকে অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা করে থাকে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে সন্দেহের বাহিরে রেখে পুরুষ মাদক ব্যবসায়ীদের খুঁজে বেড়ায়। বর্তমানে শহরে মাদক বিরোধী আন্দোলনসহ পুলিশি অভিযানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী আটকের ঘটনাও বেড়ে যায়। কিন্তু এরপরও মাদক ব্যবসা কিন্তু থেমে নেই। এতে করে সর্বস্ততের কাছে মাদক ব্যবসা দমনের ফলাফল অনেকটা নিরাশায় পরিণত হয়। এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল পাল্টে অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা করার সময় ধরা পড়ে। এছাড়া মহিলা মাদক ব্যবসায়ীরা দ্বারাও মাদক ব্যবসা করার সময়ও অনেক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতে, মাদক ব্যবসা একবারে বন্ধ করা যাবেনা। এটা ধীরে ধীরে প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে নিমূল করতে হবে। এছাড়া এটা শুধুমাত্র পুলিশ-প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব না। এর জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সচেতনাতার মধ্য দিয়ে এসব ব্যবসা বন্ধ বা নির্মূল করা যাবে। এ জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এ দিকে একাধিক সূত্র জানায়, ‘এখনো সমাজের ঊর্ধ্বতন নেতা, পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের লোকদের যোগসাজসে মাদক ব্যবসার ভুত এখনো সমাজের ঘারে চেপে আছে। তাইতো মাদক ব্যবসায়ীরা আটকের পর বড় মহলের কর্তা ব্যক্তিদের কারণে তারা আবারো ছাড়া পেয়ে যায়। তারা ছাড়া পেয়ে আবারো মাদক ব্যবসা করে। আর তাই পুলিশি অভিযানের পরও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা করেই চলেছে। এই কারণ সব আরো অদৃশ্য কারণে মাদক ব্যবসা কিছুতেই নির্মূল করা যাচ্ছেনা। এতে করে পুলিশের শত অভিযান ও আটকের পরও মাদক ব্যবসায়া কিছুতেই দমন করা যাচ্ছেনা।