ডাকাতি ‘ছেড়ে দিয়ে’ হামলার শিকার

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১৩, সেপ্টেম্বর ০৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার আসামিকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ওই ব্যক্তির এক হাত ও এক পা। রাজাপুরের বিড়ালঝুড়ি ব্রিজ এলাকায় রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবুল হোসেন তালুকদার নামের ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আবুল হোসেনের বাড়ি রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে। তার নামে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা আছে। ২০২০ সালের আগস্টে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেল থেকে বের হয়ে ডাকাতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আবুল। এরপর গ্রামে কৃষিকাজ করতেন বলে জানা গেছে। ওসি বলেন, বিড়ালঝুড়ি এলাকার লোকজন রোববার রাতে থানায় খবর দেয় যে সেখানে ব্রিজের কাছে এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পুলিশ গিয়ে তাকে শনাক্ত করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার ভোরে তাকে রাজধানীতে পাঠানো হয়। আবুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মানিক  বলেন, রোগীর হাত-পা এমনভাবে জখম হয়েছে যে চিকিৎসা দেয়ার কোনো উপায় নেই। স্যালাইনের জন্য ক্যানোলা করারও জায়গা নেই। তার অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ হয়। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রাজাপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আবুল হোসেন। সেখানে তিনি জানান, স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। এ জন্য কৃষিকাজ শুরু করছেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, জমি নিয়ে তার কিছু বিরোধ আছে। ডাকাত ছিল বলে এলাকার লোকজন তাকে ও তার পরিবারকে তাড়িয়েও দিতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, আবুল সৎ-জীবনে ফিরতে চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সহযোগিতা করবেন। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল বলেন, জামিনে জেল থেকে বের হয়ে গত জানুয়ারিতে থানায় আসেন আবুল। অনুশোচনা করে সৎপথে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন। থানা পুলিশ তাকে নজরদারিতেও রেখেছিল। তিনি কৃষিকাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন। এই হামলার ঘটনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনও থানায় কেউ করেনি বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, কী কারণে হামলা তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবুল রাতে ওই এলাকায় কেন গিয়েছিলেন তাও জানা যায়নি। অভিযোগ না পেলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।