নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনার আমতলীতে পাওনা টাকা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের বরিশাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমতলী উপজেলার পূর্বচিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্বচিলা গ্রামের রফিক মৃধার ছেলে শান্ত মৃধা চাচাতো ভাই তুহিন মৃধার কাছ থেকে গত তিন মাস পূর্বে ২ হাজার ১০০ টাকা ধার নেন। ওই টাকা তিন মাসেও পরিশোধ করেনি শান্ত। উল্টো তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে গত এক মাস পূর্বে সালিশ বৈঠক হয় এমন দাবি তুহিন মৃধার।
বুধবার রাতে পাওনা টাকা শান্ত মৃধার কাছে চাইতে যান তুহিন মৃধা। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তুহিন মৃধা ও শান্ত মৃধার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৮ জন আহত হন।
গুরুতর আহত সাকিল মৃধা, রফিক মৃধা, শান্ত মৃধা, দুলালী ও মাহিনুরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটজনক অবস্থায় সাকিল মৃধাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। অপর আহত ছালাম মৃধা, তুহিন মৃধা ও আলফান মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তুহিন মৃধা বলেন, গত তিন মাস পূর্বে শান্ত মৃধা আমার কাছ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা ধার নেন। ওই টাকা দিতে তিনি অস্বীকার করেন। এ টাকা চাইতে গেলে আমার পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শান্ত মৃধার বড়ভাই মামুন মৃধা বলেন, তুহিন মৃধা ও তার লোকজন আমার পরিবারের দুই নারীসহ চারজনকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোর্শেদ আলম বলেন, গুরুতর আহত সাকিল মৃধাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রণজিত কুমার সরদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
