বরিশালে এ্যাসাইনমেন্টে টাকা না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:১২, আগস্ট ৩১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  বরিশালের মুলাদী উপজেলার লক্ষ্মীপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে ছাত্র-ছাত্রীর নিকট থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনার একটি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাককদের অভিযোগ ও ভিডিও সূত্রে দেখা যায় সহকারী প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে এ্যাসইনমেন্ট জমা নিচ্ছে সাথে ১০০ টাকা করে বুঝে নিয়ে প্যান্টের পকেটে রাখছেন । গোপনে কেউ একজন ঐ ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে দেয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আইনের পরিপন্থী ছাত্র/ছাত্রীর থেকে এ্যাসাইনমেন্ট বিষয় প্রতি ১শত টাকা করে নেন বলে অভিযোগ করেন ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকগন। কোন ছাত্র-ছাত্রী কিংবা অবিভাবক প্রতিবাদ করলে আমলে না নিয়ে ফেল করিয়ে টিসি দিবে বলে হুমকি দেন। সরকার কর্তৃক এস্যাইনমেন্ট পরীক্ষা বাবদ কোন টাকা নেওয়া যাবেনা নিষেধ থাকলেও তা মানছেনা ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক। ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮ শতাধিক এক মাসে ৪টি এ্যাসাইনমেন্ট সে হিসেবে ৩ লক্ষ টাকার অধিক উত্তোলন করে তা আত্নসাধ করে শিক্ষকদ্বয় যাহা আইনের পরিপন্থী বলে জানান ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অবিভাবকগন। তাছাড়া ২০২১ সালে কোভিট-১৯ মহামারীতে ছাত্র-ছাত্রীর নিকট থেকে বেতন নেওয়া যাবেনা শিক্ষামন্ত্রী ঘোষনার পরেও ছাত্র-ছাত্রীর নিকট থেকে বেতন আদায় করে পরবতী ক্লাসে পদায়ন কওে ছাত্র-ছাত্রীদের রশিদ না দিয়ে সে টাকাও আত্নসাধ করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা জমা নেওয়া শিক্ষকদ্বয়ের নয় তারপরেও ভিডিওতে দেখা যায় সহকারী প্রধান শিক্ষক টাকা তুলেছে। অফিস সহকারী থাকলেও কিছু শিক্ষকদ্বয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতেই রশিদ ছাড়া টাকা উত্তোলন করে অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করছে প্রধান শিক্ষক। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর ও গরীব খেটে খাওয়া মানুষ বিধায় তারা কোন অণিয়মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ্ব আঃ ছালাম খান স্কুলের বিভিন্ন সভায় শিক্ষকদের সরকারী নিয়মের বাইরে কোন টাকা আদায় কিংবা কোন অণিয়ম করতে নিষেধ করছেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার আলমের নিকট জানতে তার সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করে তাকে না পেয়ে তার ব্যবহৃত ০১৭….২৯ নম্বরে মোবাইল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে টাকা উত্তোলনকারী বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বকেয়া টাকা তুলছি । তাহলে ছাত্র-ছাত্রীকে রশিদ কেন সরবরাহ করেনি সে বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। এ্যাসাইনমেন্ট জমা নিয়ে টাকা নেওয়ার ভিডিও থাকলেও তা সরাসরি অস্বীকার করায় স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এ ধরণের শিক্ষক কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন ? ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি সরোজমিনে তদন্ত ও ভিডিও দেখে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ দেয়া সহ দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের।