নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
স্থানীয়রা জানান, ১৫ আগস্ট সকালে মুন্নী ও রুনু নিজ নিজ বাসা থেকে বের হন। দুপুর আড়াইটার পর তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কোথায় হারিয়ে গেলেন দুই নারী, এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন স্বজনরা।
বরিশাল নগরের এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই নারীর সন্ধান দুই সপ্তাহেও মেলেনি। পুলিশ বলছে, প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে দুই নারীর সন্ধান পেতে তৎপরতা রয়েছে পুলিশ।
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা জানায়, গত ১৪ আগস্ট বিকেল থেকে নিখোঁজ হন নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌহুতপুর এলাকার দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী রুনু বেগম। তার মেয়ে দোলন বেগম এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
৪৫ বছর বয়সী রুনু বেগমের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দোলন জানান, রুনু বেগম ১৫ আগস্ট থেকে নিঁখোজ রয়েছেন, জিডিতে তারিখ ভুল হয়েছে।
এদিকে ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরের লুৎফর রহমান সড়ক এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী মুন্নী আক্তার নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।
২৫ বছর বয়সী মুন্নীর মা রাবেয়া বেগমের করা জিডিতে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, এ দুই নারী নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি সড়কে একটি বিড়ির শাখা কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এ সুবাদে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। ১৫ আগস্ট সকালে মুন্নী ও রুনু নিজ নিজ বাসা থেকে বের হন। দুপুর আড়াইটার পর তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কোথায় হারিয়ে গেলেন দুই নারী, এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন স্বজনরা।
মুন্নী আক্তার এক সন্তানের জননী। স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। আর রুনু বেগম তিন সন্তানের জননী। তার স্বামী দুলাল হাওলাদার চা দোকানি।
তারা নিঁখোজ হওয়ার পর কোন তথ্যই মিলছে না বলে জানান এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার। তিনি বলেন, সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তাদের সন্ধানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।