বরিশালে বিয়ে মেনে না নেওয়ায় ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:১৪, আগস্ট ২৮ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলায় এক ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায় উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে ইসমাইল হোসেন পলোয়ান বাড়ির মসজিদের ইমাম ও মক্তবের শিক্ষক ছিলেন। সেই সুবাধে মক্তবের ছাত্রী রিয়া আক্তার মিমের সাথে তার পরিচয় হয়। তাকে বিয়ে পড়ানোর জন্য এ বছরের পহেলা জানুয়ারী ইসমাইল হোসনকে রিয়া আক্তার মিম এর দাদা মন্নান হাওলাদার সহ কয়েকজন মিলে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায় গুয়াবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাবিন রেজিষ্টার আবদুল আলীমের কার্যালয়। সেখানে কাবিন রেজিষ্টার আবদুল আলীম ছেলে মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কাবিন রেজিষ্টার বিয়েতে অস্কীকৃতি জানায়। তখন মেয়ে পক্ষ ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে জোড়পূর্বক সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। পরবর্তীতে সেই ষ্ট্যাম্প দিয়ে বরিশাল নিয়ে পাবলিক নোটারী মাধ্যমে বিবাহের হলফনামা তৈরী করে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কালাম মোল্লা ও তার পরিবারকে মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম হাওলাদার ও মেয়ের দাদা মন্নান হাওলাদারসহ কয়েকজনে হুমকি দিয়ে আসছে। এই মেয়ে মেনে না নিলে ছেলে ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হব এবং বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে মেয়ের পরিবার এলাকার দাপটে হওয়ায় কেউ এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছেনা। এলাকার বাসিন্দা কাসেম বলেন, ছেলেটি একজন হাফেজ ও মাওলানা। ছেলেটির পরিবার এই মেয়েকে মেনে নেয়নি বলে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ আলেম ছেলেটিকে হয়রানী ছাড়া আর কিছুই না। তিনি আরো বলেন, রিয়া আক্তার মিম আফসার উদ্দিন ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার বয়স হয়েছে ১৩ বছর। ছেলের বাবা কালাম মোল্লা জানায় আমাকে মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম ডেকে নিয়ে বলেন আমার ছেলে ইসমাইল তার মেয়েকে বিবাহ করেছে। আমাকে তারা ওই মেয়েকে ঘরে তোলার চাপ প্রয়োগ করছে।আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করিয়েছে শুনে আমি ওই মেয়েকে ঘরে তুলতে অপরাগতা জানাই। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন আমি ঢাকায় থাকা অবস্থায় জানতে পারি আমার বাবা মন্নান হাওলাদার আমার মেয়েকে নোটারীর মাধ্যমে একই এলাকার কালাম মোল্লার ছেলে ইসমাইল হোসেন এর কাছে বিয়ে দিয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ছেলেটি নিখোজ রয়েছে। আমি ইসমাইলের পরিবারকে বিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। তারা বিয়ে মেনে না নেওয়ায় আমি আদালতে ইসমাইলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করি।