নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ছাত্রলীগ হল বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্যান্টনমেন্ট। এই ছাত্রলীগ এক/এগারের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর গ্রেফতার পরে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, প্রতিরোধ করেছে। কাজেই ছাত্রলীগ আমাদের আস্থার ঠিকানা, নির্ভরযোগ্য জায়গা। সে সময় যুবলীগও ছাত্রলীগের সঙ্গে ছিল।
আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। একুশে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বর গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হামলার তদন্তকারী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও মামলার অন্যতম সাক্ষী মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (অব.), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকে।
যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নানক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে সেদিন যুবলীগ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে নাই। এই কারণে ঢাকা মহানগরে ১০৯টি ওয়ার্ড কমিটি একযোগে ভেঙ্গে দিয়েছিলাম। মাত্র ১১ দিনের মাথায় ১০৯টি কমিটি গঠন করেছি সেই কমিটি এখনো কাজ করছে।
ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, এইভাবে চলতে পারে না। এইভাবে চলবে না। সংগঠন দাঁড় করাতে হবে। যাদের সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের সময় দিয়ে দিতে হবে। এতো তারিখের মধ্যে কমিটি গঠন করবেন নতুবা সেই কমিটি সেই তারিখে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, বাতিল হয়ে যাবে। সেই জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি করে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করতে হবে। ঢাকা থেকে ঘোষণা দিয়েন না। এই কমিটি দিয়ে কোন কাজ হবে না।
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে নানক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি বলেন, আমাদের পায়ের তলায় মাটি নাই? আমরা হাঁটি কেমনে? কিসের উপর ভর দিয়া হাঁটি? আপনাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব নাই। আর সেই রাজনৈকিত অস্তিত্ব নেই বলে আজকে ১২/১৩ বছর যাবৎ জনগণ আপনাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। জনগণ আপনাদের অবরোধ-হরতাল, অসহযোগ, জ্বালাও-পোড়াও সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে থুথু দিয়েছে আপনাদের কাপড়ের উপর, সেই থুথু দিয়ে বলে দিয়েছে, খুনের রাজাদের জায়গা এই বাংলাদেশে নাই।