অপরাধি না হয়েও আজ আমি অপরাধি – মেয়র সাদিক

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:১৭, আগস্ট ২১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পরাধি হই তবে বরিশালের এতবড় একটা দায়িত্বে থাকার কোন অধিকার আমার নাই। আমি পদত্যাগ পত্র দিতে চেয়েছি কিন্তু আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে দেই নাই। আমি প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ চাই একই সাথে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই। আর আমি যদি অপরাধি হই তাহলে আমি এই গুরুত্ব দায়িত্ব থেকে সরে যাবো। বৃহস্পতিবার বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মেয়র সাদিক বলেন, আমি লজ্জা পাই এই কারনে একজন মেয়র হয়ে বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেকে মেয়র পরিচয় দেওয়ার পরও তারা আমার উপর গুলি করেছে। আমর নেতাকর্মীরা আমাবে সেখান থেকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। আজ আমার নেতাকর্মীরা হাসপাতালের বেডে অথচ সরকার ক্ষমতায় থাকতেও আমি নেতাকর্মীদের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমি দূর্নীতি মুক্ত বরিশাল সিটি কপোরেশন গড়ে তুলেছি। এখানে নেই কোন টেন্ডারবাজী, মারামারি। আমি নিজে জীবনে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি। তাই আমি আমার কর্মচারীদের দুঃখ বুঝি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনুদান না পেলেও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছি। বিসিসি’র সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন প্রদান করছি। আজ আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বরিশাল সিটি কপোরেশন একটি পরিচ্ছন্ন সিটি কপোরেশন। তিনি বলেন, ইউএনও’র বাসার ঘটনা সময় যারা বরিশালে ছিলেন না তাদেরকেও আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো বেশ কয়েকজন আছে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তৃতীয় পক্ষ যারাই থাকুকনা কেন তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি করেন তিনি। আর এতে যদি আমি নিজেও দোষি হই তবে আমি পদত্যাগ পত্র দিয়ে চলে যাবো। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বরিশাল বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন না, এটি বাংলাদেশেরই একটি অংশ। সারা বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিদের সাথে জনগনের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি বলেণ, প্রশাসনের কর্মকর্তারাই আজ জয় বাংলার স্লোগান দিচ্ছে। তারা মনে করে দল আর প্রশাসন একসাথে কাজ করছি। এখন রাষ্ট্র , দল , সরকার ঐকাকার হয়েগেছে। ভোটের সময় সরকার রাষ্ট্র যন্ত্রবেক ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা সেদিন ৫জন মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছিলাম। আজ রাজনীতি বিদরাই আমলাদের নিয়ে রকথা বলছে। তবে ইউএও’র বাস ভবনের ঘটনা নিয়ে তিনি সরাসরি কছুই বলেনি। বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, বরিশাল সিটি কপোরেশনের নিয়মিন রুটিন ওয়ার্কের কাজ হিসেবে সেদিন উপজেলা পরিষদের চত্তরে গিয়েছিলো বিসিসি’র কর্মকর্তা কর্মচারিরা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনে কেউ হামলা করেনি। সেদিন হামলার কোন ঘটনাই ঘটেনি। ইউএনও নিজেই এর সাথে জড়িয়েছে। তিনি নিজে আসনারের অস্ত্র নিয়ে গুলি করেছে। আমরা এর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি। এদিকে বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদে ব্যনার অপসারন করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ , আনসার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মেিদর মধ্যে সংঘষের পর বরিশালে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এবিষয়ে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেছেন, বরিশালের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এই মুহূর্তে বিজিবি নামানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে যদি প্রয়োজন হয় এর জন্য বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে জনজীবন স্বাভাবিক পরিলক্ষিত হয়েছে।