কামরুন নাহার | ০১:৩৪, ফেব্রুয়ারি ২৪ ২০২০ মিনিট

নগরীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চলছে কোচিং বাণিজ্য নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর বীণাপানি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পার্থ, ফেরদৌসি ও জোবাইদা সরকারী নিয়মের তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে সরকারী নিষিদ্ধ কোচিং বানিজ্য। অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, পার্থ বীণাপানি মডেল স্কুলের সামনে জাফর মঞ্জিলে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বানিজ্য। ব্যাচে ২০ থেকে ২২ করে জনপ্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নিয়ে কোচিং করাচ্ছে। অপরদিকে ফেরদৌসি ও জোবাইদা ও তাদের নিজে বাসায় কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কোচিংবাজ শিক্ষকদের কারণে বীণাপানি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গত ২০১৯ সালে চঊঈ পরীক্ষায় এচঅ-৫এসেছে মাত্র ৯টি যা গত বছরের তুলনায় নগন্য। অপরদিকে পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা দেবলিনা স্কুলের সামনে নিজ বাসায়, আব্দুল হাকিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিজে ক্লাস রুমে কোচিং করান। সিস্টার ডে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিমকি নিজ বাসা বগুড়া রোডের পেস্কার বাড়িতে এবং আছমত মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজ বাসায় কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, এসব শিক্ষকরা শিক্ষা কর্মকতা ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কোচিং বানিজ্য। যার কারণে বার বার স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলেও বন্ধ হয়নি তাদের কোচিং বানিজ্য। বরং অদৃশ্য ক্ষমতাবলে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বানিজ্যসহ ভর্তি বানিজ্য। বর্তমানে উপজেলার প্রশ্ন বাদ দিয়ে নিজ নিজ স্কুল প্রশ্ন করে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে এ কোচিং বানিজ্য শুরু হয়েছে। শিক্ষাবিদদের মতে, এসব কোচিং বানিজ্য বন্ধ না হলে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ছিটকে পরবে কোমলমতি শিশুরা। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদারকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বিষয়টি তদন্ত স্বরুপ দেখবেন বলে জানান। এব্যাপারে বীণাপানি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পার্থ সাহা বলেন, আমরা কোন কোচিং করাই না। কত শিক্ষকরাই তো পড়ায়। বাইরে পড়ালে কোন সমস্যা নাই। শুধু ক্লাশ টাইমে না পড়ালেই হলো।