প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকা মদের বিল যুব মহিলা লীগ নেত্রীর

কামরুন নাহার | ১৩:৩৪, ফেব্রুয়ারি ২৩ ২০২০ মিনিট

দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক ব্যবসা করে আসছিলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া। রাজধানীর সুপরিচিত পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনের একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে অনেকদিন ধরে চালাচ্ছেন এই অনৈতিক ব্যবসা। তার ব্যবসার মূল খদ্দের ছিলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কিছু ব্যক্তি। যারা প্রতিনিয়ত মনোরঞ্জন নিতে এখানে আসতো।  পাপিয়ার মূল ব্যবসা হোটেল ও বারের হলেও এর আড়ালে চলতো মেয়েদের দিয়ে এই অনৈতিক ব্যবসা। প্রায় সাত আটজন মেয়ে নিয়ে সে ওয়েস্টিনের ২২ তলার ফ্লোরটি পরিচালনা করতো। এই ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে পাপিয়ার প্রতি মাসে হোটেল ও বারের বিল আসত ১ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা। গতকাল শনিবার বিকেলে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-১ এর র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল। শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটক অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব ১ এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, শামীমা নুর পাপিয়া একজন ব্যবসায়ী। এফডিসির কাছে কার এক্সচেঞ্জ নামক গাড়ির শোরুম আছে তার। নরসিংদী এলাকার অসহায় সুন্দরী নারীদের আর্থিক দুর্ব’ল’তার সুযোগ নিয়ে অ’নৈ’তিক ক’র্মকা’ণ্ড চালাতেন তিনি। বছরের অধিকাংশ সময় রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে, সেখান থেকেই অ’নৈ’তিক কাজে নারী সরবরাহ করেন তিনি। এই অ’বৈ’ধ কাজ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সে টাকায় কিনেছেন একাধিক বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্লাট। শাফিউল্লাহ বুলবুল আরও বলেন, গুলশানে অবস্থিত হোটেল ওয়েস্টিনের ২১ তলায় তার দুটি রু’ম ভা’ড়া নেওয়া আছে তার। সেখানেই তিনি তার কাজে সহযোগী মেয়েদের রাখেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার কাছ থেকে পাওয়া রশিদ অনুযায়ী, গত তিন মাসে ওয়েস্টিন হোটেলে বার খরচ ও রুম ভাড়া হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছে সে। তিনি বলেন, জালটাকা সরবরাহ করে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গেলে র‍্যাব তাদের আ’ট’ক করে। এসময় তাদের থেকে ৭টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি নগদ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, জাল ২৫ হাজার টাকা, ভারতীয় রুপি ৩১০, শ্রীলংকান মুদ্রা ৪২০, ১১ হাজার ৯০ ইউএস ডলার উ’দ্ধার করা হয়েছে।