স্রোত না কমা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ট্রাক-বাসবাহী ফেরি বন্ধ
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৮:৫৯, আগস্ট ১০ ২০২১ মিনিট
রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কার কারণে স্রোত না কমা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে বাস ও ট্রাকবাহী ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌ প্রতিমন্ত্রী জানান, সেতুর নিচে স্রোতের চরিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ভারী যানবাহন নিয়ে এ স্রোতের মধ্যে ফেরি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই শুধুমাত্র হালকা যানবাহন নিয়ে এই ফেরি চলাচল করতে পারবে।
ভারী যানবাহনের নদী পারাপারের বিষয়ে তিনি জানান, বিকল্প পথে ভারী যান নিয়ে ফেরি চলবে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ নামে একটি ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনার ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’-এর ভারপ্রাপ্ত মাস্টার কর্মকর্তা ও ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো. দেলোয়ারুল ইসলাম এবং হুইল সুকানী মো. আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ)।
এছাড়াও এ ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (কারিগরি) মো. রাশেদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামে ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি। সে সময় ঘটনা তদন্তে ওই দিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিআইডব্লিউটিসি।
তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পেছনে রো রো ফেরিটির ইনচার্জ মাস্টার আব্দুর রহমান খান ও সুকানির সাইফুল ইসলামের দায়িত্বহীনতা রয়েছে। ফেরি বা অন্য কোনো জলযানের সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে রাখতে পদ্মা সেতুর পিলারগুলো রাবার দিয়ে মোড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে ওই কমিটি।