বরগুনায় একই রোগের লক্ষণ নিয়ে ১৫জন হাসপাতালে, একজনের মৃত্যু

কামরুন নাহার | ১৮:৫৯, ফেব্রুয়ারি ২০ ২০২০ মিনিট

বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেংড়া এলাকার এক বাড়ির ১৫ জন চিকিৎসা গ্রহণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার একই বাড়ির মানিক মিয়া (৩০) নামে এক যুবক হাসপাতালে আনার পথে মারা যায়। সকলেই পাতলা পায়খানা, বমি ও জ্বরাক্রান্ত ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে। তবে চিকিৎসায় তাদের স্বাস্থ্যের ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল ফাত্তাহ বৃহস্পতিবার বিকালে টেলিফোনে জানান, সদর ইউনিয়নের টেংড়া গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের পূত্র মো. মানিক মিয়া পাতলা পায়খানা, বমি ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পথে মারা যায়। পেশায় সে একজন জেলে শ্রমিক। এর পরই একই বাড়ির প্রথমে ৯ জন পরে আরো ছয়জন একই রোগের লক্ষণ নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সকলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। প্রকৃত কারণ জানার মত উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা উপজেলা পর্যায়ে নেই সে কারণে সঠিক কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। লক্ষণ দেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের পৃথক করে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকায় আইডিসিআরকে অবহিত করা হয়। বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহিন খান বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরঘাটার সেই গ্রামে রোগীদের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বলে ডা. আবুল ফাত্তাহ জানান। মৃত মানিকের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার জানান, আমার ছেলের শরীরে কাঁপনি দিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে, পাতলা পায়খানা ও বমি হয়। আমাদের এলাকায় নলকূপ বা নিরাপদ পানি না থাকার কারণে পুকুরের পানি না ফুটিয়েই পান করে থাকি। রোগে আক্রান্তরা হলো পিয়ারা বেগম (৪০), নাইম (১৪), শাহিনুর (২৬), সারমিন (২৬), তামান্না (১৪), নাসরিন (২৭), ইমা (১২), জারিফ (৮), দীনা (৮), মুক্তা (২২), শাহারিন (১১), জান্নাতী (৯), মিরাজ (৩২), জহুরা (৮০), নাজমুল (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি একই এলাকায় এবং পরস্পরে এক অপরের আত্মীয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে আক্রান্তদের খাদ্যে বিষক্রিয়ার কথা জানান।