১৪ দিনেও স্ত্রী-সন্তান জানেন না মৃত্যুর খবর

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৪, জুলাই ১৩ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শরণখোলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদল কর্মকার (৪০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গত ২৯ জুন। ওই দিন বরিশাল মহাশ্বশানে তার সৎকার করা হয়েছে। এরপর ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তার স্ত্রী সীমা কর্মকার (২৭) জানেন না তার মৃত্যুর খবর। তিনি অপেক্ষায় আছেন স্বামী সুস্থ হলেই বাড়ি চলে আসবেন। আর একমাত্র সন্তান সূর্য্য (১১) অপেক্ষায় রয়েছে বাবা এলেই তার কাছে বায়নার কথা বলার জন্য। কিন্তু তাদের আশা যে আর পূরণ হওয়ার নয় সেই খবর জানাতে আসবেন বাদলের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। কিভাবে এ খবর জানাবেন আর তাদের সামলে নিবেন এজন্য প্রতিবেশীরাও রয়েছেন উৎকন্ঠায়। সীমার ভাইয়েরা দুই-এক দিনের মধ্যে বরিশাল থেকে এসে জানাবেন বাদল চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এলাকাবাসীরা জানান, জুন মাসের ২য় সপ্তাহে বাদল কর্মকারের পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু সামান্য সর্দি, কাশি ও জ্বরকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এরমধ্যে বেশ কিছু দিন পার হলে বাদলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থ বেশি দেখে তারা সবাই গত ২৪ জুন শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করান। তবে রেপিট এন্টিজেন্ট নমুনা পরীক্ষায় বাদলের নেগেটিব এবং তার স্ত্রী সন্তানের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বাসায় বাদলের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। খবর পেয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এক দিন পরে এম্বুলেন্সে করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে করোনা পরীক্ষা দেয়ার দুদিন পরে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ততক্ষণে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে থাকে। ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করার এক দিন পরে বাদলের মৃত্যু হয়। ওই দিনই তাকে সৎকার করা হয়। বাদলের শ্যালক উজ্জল কর্মকার জানান, তার বোন সীমা কর্মকার ও ভাগ্নে সূর্য্য কর্মকারের করোনা পজেটিভ থাকার কারণে তাদেরকে বাদলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। ১২ জুলাই সোমবার সকালে তাদের পুনরায় করোনা পরীক্ষার নমুনা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে জানানো হবে বাদল কর্মকারের মৃত্যু খবর। শরণখোলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন জানান, এন্টিজেন্ট রিপোর্ট প্রায় ৬০ ভাগ সঠিক পাওয়া যায়। যার কারণে বাদল কর্মকারের রিপোর্ট হয়তো সঠিক হয়নি।