আমতলীর ইউএনওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:০৫, জুলাই ১৩ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আমতলীর ইউএনওর বিরুদ্ধে বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মেসার্স নাঈম এন্টার প্রইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ফয়সাল হোসেন নয়ন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য ‘ক’ শ্রেণীর ১১০টি এবং ‘খ’ শ্রেণির জন্য ৫০টিসহ মোট ১৬০টি ঘর বরাদ্ধ দেয় সরকার। এই ঘর নির্মানের জন্য আমতলীর ইউএনও (তৎকালীন তালতলীর ইউএনও একই সঙ্গে আমতলীরও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও পরে ৪ সেপ্টম্বর ২০ সালে আমতলীতে যোগদান) মো. আসাদুজ্জামান ভোলার নাঈম এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ফয়সাল হোসেন নয়নকে ‘ক’ শ্রেণির ৮৩টির প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করে মোট ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৫ হাজার এবং ‘খ’ শ্রেণির ৪৯টি ঘরের জন্য প্রতিটি ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে মোট ৫৮ লক্ষ ৮০ হাজার এবং আমতলীতে ‘ক’ শ্রেনির ৯টি ঘরের প্রতিটির জন্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার করে মোট ১৭ লক্ষ ১০ হাজারসহ দুই উপজেলায় ১১৯টি ঘরের জন্য সর্বমোট ২ কোটি ২১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার কাজ করেন মো. ফয়সাল হোসেন নয়ন। ওই বিলের বিপরীতে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে ঠিকাদার মো. ফয়সাল হোসেন নয়নকে ২কোটি ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করে ১৬ লক্ষ ৮হাজার টাকা বকেয়া রাখেন। ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়ন দীর্ঘ দিন ধরে টাকা চাইলে আমতলীর ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান আজ নয় কাল দেব বলে ঘুরাতে থাকেন এবং বর্তমানে তিনি টাকা পরিশোধে অনিহা প্রকাশ করেন বলে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে। এক পর্যায়ে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান টাকা দিতে অস্বীকার করায় সোমবার দ্পুুরে মো. ফয়সাল হোসেন নয়ন বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়ন বরগুনার জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ঘরের কাজ করতে গিয়ে আমার লোকসান হয়েছে। তারপরও আমতলীর ইউএনও আমার পাওনা ১৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও তিনি এখন টাকা পরিশোধে অনিহা প্রকাশ করেন। আমি নিরুপায় হয়ে আমার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সোমবার দুপুরে বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমতলীর ইউএনও ১১৯টি ঘরের হিসাব থেকে প্রতিটি ঘর বাবদ আমার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা লাভ করে নিয়েছেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘর নির্মানের সকল টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাঈম এন্টার প্রাইজ এর ঠিকাদার মো. ফয়সাল হোসেন নয়নকে পরিশোধ করে দিয়েছি বলেই তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমতলীর ইউএনওকে ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়নের সাথে ঝামেলা মিটানোর জন্য মৌখিক ভাবে নির্দেশ দিয়েছি।