পটুয়াখালীতে করোনায় প্রাণ গেলো ২ জনের

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:০৫, জুলাই ১৩ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রতিদিনই বাড়ছে পটুয়াখালীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছরে ৭ জুলাই পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ৬০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। করোনা শুরুর পরে গতবছর ২০২০ সালের ৫ জুলাই ৫১ জন জেলায় সর্বোচ্চ করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। চলতি ১০ জুলাই পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৯১, এবং মৃতের সংখ্যা ৬৩ জন।এর মধ্যে চলতি জুলাই মাসের ১২ দিনে আক্রান্ত ৪১৯ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫ জন। বর্তমানে জেলার ৮ টি উপজেলার মধ্যে কলাপাড়া উপজেলা ক্রমেই করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস ও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে , ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল কলাপাড়া উপজেলায় প্রথম করোনা রুগী শনাক্তের পর থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৮ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। এদিকে চলতি বছরের মে মাসের ১ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সর্বশেষ ৭৩ দিনে কলাপাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫ জন। এর মধ্যে মে মাসে আক্রান্ত ১২৬ জন যার মধ্যে কলাপাড়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে কর্মরত ৫৪ জন চায়নীজ নাগরিক,জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ জন যার মধ্যে ৫ জন চায়নীজ নাগরিক,চলতি জুলাই মাসের ১২দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ জন । এ ছাড়া গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১৮১ এবং মৃত ১৪,দশমিনা উপজেলায় ১৯৯ মৃত-৩,বাউফলে ২৭৯ মৃত ৯,মির্জাগঞ্জে ১৪৪ মৃত-৩,দুমকীতে আক্রান্ত ১২৫ মৃত ৪ জন। এদিকে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা:চিন্ময় হাওলাদার জানান,প্রতিদিনই তার উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্তের হার বাড়ছে, ইতোমধ্যে কলাপাড়া হাসপাতালে করোনা রুগীদের জন্য ৫ টি বেড রয়েছে,এছাড়াও অরোও ৪ টি বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: লোকমান হাকিম জানান,প্রতিদিনই পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির পরিমান বাড়ছে,আজ ১৩ জুলাই হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে ২৬ জন এবং সাসপেকটেড ওয়ার্ডে ৩৩ জন ভর্তি আছেন। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৮০টি বেড রয়েছে।হাসপাতালে বর্তমানে ২ টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন সহ ৩৪৭ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান,পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য মে মাসের মধ্যবর্তীতে ৫ টি আইসিইউবেড দেয়া হলে তা সবেমাত্র গতকাল ১২ জুলাই গনপূর্ত বিভাগ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেছে। এখন ভেন্টিলেটর ,জনবল ,প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট সহ বেড স্থাপনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ পত্র দিয়েছেন। ইউনিসেফের সহায়তায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যায়ে হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমের লাইনের কাজ সম্পন্ন হলে ও অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ বাকী রয়েছে,অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য মেনিফোল্ড সিলিন্ডার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। জেলার ৬ টি উপজেলা হাসপাতালে ২২৪ টি অক্স্রিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে। এছাড়া ও করোনা সনাক্তকরন আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে । ল্যাবরটরির যন্ত্রপাতী প্রাপ্তী সাপেক্ষ কাজ শুরু করা হবে।তিনি আরো জানান,উপজেলা পর্যায় দুমকী,মির্জাগঞ্জ,ওকলাপাড়ায় সেন্ট্রাল অক্স্রিজেন সিস্টেম চালু আছে। এ ছাড়া দশমিনায় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে। জিনএক্সপার্ট মেশিনের মাধমে কলাপাড়া ,গলাচিপা,ও পটুয়াখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে করোনা সনাক্তকরন কাজ চলছে।