চীনে পানি সমস্যায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

কামরুন নাহার | ০১:৩৩, ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ নোভেল করোনা ভাইরাস। বর্তমান বিশ্বে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস একটি বড় আতঙ্কের নাম। চীন উহান প্রদেশ থেকে শুরু হয়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। চীনে করোনা ভাইরাস পুরো চীনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২ হাজার ৪৮জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৭০ হাজার ৫শ ৪৮জন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সেখানে রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বেশ আতঙ্কেই দিন কাটছে তাদের। রবিবার মোবাইল ফোনে কথা হয় চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সুমন আহমেদের সঙ্গে। সুমন বর্তমানে অবস্থান করছেন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। তিনি বেইজিং নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সুমন আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তারা আগের তুলনায় বর্তমানে আমাদের বেশি সেফটি ও সিকিউরিটির ব্যবস্থা করেছেন। আমরা যেন ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে না পারি এবং বাইরে থেকে কেউ আমাদের এখানে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য ক্যাম্পাসের মেইন গেট লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। খুব জরুরি কাজে আমরা যদি বাইরে যাই তাহলে ছাড়পত্র নিয়ে বের হতে হচ্ছে। আমরা যখন ডরমেটারি থেকে বের হই, তখন আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বের করা হয়। এবং ঢোকার সময়ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। খাবারের বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের ক্যাম্পাসের ভেতর একটি ক্যান্টিন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করতে বলেছেন। যারা আমাদের রুম সার্ভিস করেন তারা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এক ধরণের ওষুধ আমাদের রুম ¯েপ্র করছেন। যাতে করোনা ভাইরাস আমাদের মাঝে না ছড়ায়। এছাড়া তারা আমাদের জন্য থার্মোমিটার ও মাস্কের ব্যবস্থা করেছেন। সবসময় আমাদের জ্বরের তাপমাত্রা কতো তা অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সুমন জানান, আমাদের এখানে সব থেকে বড় সমস্যা হলো খাবার পানির। কারণ আমরা যাদের কাছ থেকে পানি সরবরাহ করতাম তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। এজন্য মেইন গেট থেকে অনেক কষ্ট করে আমরা পানি নিয়ে আসছি। বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি থেকে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া হট লাইনে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলমান রয়েছে।’ বাংলাদেশে কিছু পত্রিকা থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেটা আসলে কাম্য নয়। তাই নিজেদের জায়গা থেকে আপনারা সচেতন হউন। করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত কোন নিউজ কাউকে দেওয়ার আগে কিংবা শেয়ার করার আগে আপনারা সেটি সম্পর্কে নিজে জানুন এরপর শেয়ার দিন। কারণ এসব গুজব ছড়ানোর কারণে আমাদের দেশের বড় ক্ষতি হতে পারে। চীনে এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলেও জানান বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ।