নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে কঠোর লকডাউন এখন এক কাগুজে আদেশে পরিণত হয়েছে। কিছু দোকানপাট, থ্রি হুইলার এবং লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকা ছাড়া প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক। নগরীতে বেড়েছে মানুষ এবং যানবাহন চলাচল। এদের অনেকেই মুখে নেই মাস্ক। শারীরিক দূরত্বও অনুসরণ করেন না কেউ।
যদিও লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে আজ পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। টহল দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
যত দিন যাচ্ছে কঠোর লকডাউন ততই শিথিল হয়ে যাচ্ছে। আজ রবিবার ১১তম দিনে নগরীর রাস্তাঘাটের চিত্র অনেকটাই স্বাভাবিক। কিছু দোকানপাট, থ্রি হুইলার এবং লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকা ছাড়া লকডাউনের তেমন কোন প্রভাব ছিল না বরিশালে। রাস্তায় চলাচল করেছে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এবং যানবাহন। নানা প্রয়োজনে, নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হয়েছেন তারা।
এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে আজও নগরীতে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে কিংবা স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করলে তাদের শাস্তির আওতায় আনছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরদিকে নগরীতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে এখন আর তেমন নজরদারি দেখা যায়নি।
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এসএম রাহাতুল ইসলাম।