দৌলতখানে কিশোরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতন

কামরুন নাহার | ০০:৫৭, ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২০ মিনিট

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার দৌলতখানে হাসনাইন (১২) নামের এক কিশোরকে তার নানা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্মম নির্যাতন চলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন্ধু কোথায় আছে এই সংবাদ দিতে না পারায় হাতবেঁধে তার উপর এ নির্যাতন চালানো হয়। বর্তমানে ওই কিশোর দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরের পিতা মনির বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা নির্যাতনের শিকার হাসনাইন জানায়, গত বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্র“য়ারি তার বন্ধু অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র রাসেল তার সাথে ঘুরতে বের হয়। ঘুরা-ফেরার পর সন্ধ্যায় সুফেদার মোড় বাজারে আসে। এরপর সে তার নানার ফরাজী বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু রাসেল বাজারে থেকে যায়। নানা বাড়িতে আসার পর রাসেল এর মামা জাকির তার সহযোগী হোসেন ও অনোয়ারকে সাথে নিয়ে তার নানার ঘর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা জিজ্ঞাসা করে রাসেল কোথায়? পরে সে বলে রাসেল তার সাথে ঘুরা-ফেরা শেষে ওই বাজারে থেকে গেছে। তখন তারা বলে তুই রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসিস নাই কেন? এই বলে ওরা তাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুসি, লাথি ও চর থাপ্পর মারে, উপরে তুলে মাটিতে নিক্ষেপ করে। পরে সেখান থেকে তুলে রাসেল এর ঘরে নিয়ে জাকির, হোসেন ও হেল্লাল তার হাত বেঁধে বেধড়ক মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের হাত থেকে হাসনাইনকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে হাসনাইনের বাবা মনির ও মা জান্নাত যশোর থেকে গত রবিবার ছুটে এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এঘটনায় হাসনাইনের পিতা মনির বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে অভিযুক্ত রাসেল এর পিতা রহিম জানায়, হাসনাইনকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। বরং ঘটনার দিন তার ছেলে রাসেল এর খোঁজখবর জানার জন্য তাকে বাসায় ডেকে আনা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাকির হোসেন, হেল্লাল ও আনোয়ার মিলে হাসনাইনকে বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত যখম করেছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, এভাবে মানুষ মানুষকে নির্যাতন করতে পারে তা হাসনাইনকে না দেখলে বিশ্বাস করা যেতোনা। এ নির্যাতন কারীদের বিচারের দাবী জানায় তারা। দৌলতখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানায়, এঘটনায় হাসনাইনের পিতা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।