বরিশালে যান চলাচল জনসমাগম বেড়েছে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:১৫, জুলাই ০৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লকডাউনের ৭ম দিনে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে বরিশালের বেশিরভাগ মানুষ। আজ ৭ম দিনে রাস্তাঘাটে মানুষ এবং যানবাহন চলাচল আগের চেয়ে বেড়েছে। রাস্তাঘাটে লকডাউনের চিত্র উধাও হয়ে গেছে। খুলেছে অধিক সংখ্যক দোকানপাঠ। এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে আজও একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। মেট্রোপলিটন পুলিশও নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ ২০টি স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে মানুষ এবং যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া সেনা বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশের টহল জোড়দার করা হয়েছে। লকডাউনের ৭ম দিন আজ বরিশালের রাস্তাঘাটের চিত্র ছিলো আগের ৬ দিনের চেয়ে একেবারেই আলাদা। পায়ে হেটে, রিকশায়, মোটরসাইকেলে এবং ব্যক্তিগত যানবাহনে চলাচল করেন হাজার হাজার মানুষ। কেউ কাজের সন্ধানে, কেউ বাজারে এবং অনেকে ওষুধ কিনতে এবং হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হওয়ার কথা বলেছেন। তবে কিছু মানুষ অজুহাত সৃষ্টি করে রাস্তায় বেড়িয়েছেন। আগের ৬ দিনের চেয়ে আজ নগরীতে অধিক সংখ্যক দোকানপাঠ খুলেছে। এক শাটার খোলা রেখে বেঁচা বিক্রি করেন তারা। পুলিশ কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলেই তারা শাটার আটকে দিচ্ছেন। এদিকে নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ ২০টি স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে মানুষ এবং যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশও টহল জোড়দার করেছে। এছাড়া নগরীর এবং জেলায় আজও একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি এবং লকডাউন উপেক্ষা করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। গত ৭ দিনে প্রায় আড়াই শ’ ভ্রাম্যমাণ আদালত সাড়ে ৪শ’ মানুষকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হলে তাকেই শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৩৩৩ থেকে ফোন করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাসায় ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কুইক রেসপন্স টিম রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। নিজে এবং অপরকে করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষায় লকডাউনকালীন সময়ে সকলকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।