বরগুনায় জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি চীনফেরত শিক্ষার্থী

কামরুন নাহার | ০০:৪৭, ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২০ মিনিট

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনায় চীনফেরত এক শিক্ষার্থী জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যা সাতটায় ওই শিক্ষার্থীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কিনা এ ব্যাপারে ঢাকাকে নিশ্চিত হতে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার সকালে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল ওই শিক্ষার্থীর রক্তসহ অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকায় পাঠানোর জন্য। বরগুনা হাসপাতালে এ রোগ নির্ণয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। চীনে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশ নয়, অন্য একটি প্রদেশ থেকে ৩৬ ঘণ্টার ট্রেনযাত্রা করে তিনি চীনের বিমানবন্দরে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে বিমানে করে গত শনিবার দেশে আসে। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছে, চীনফেরত শিক্ষার্থীকে কোয়ারেন্টাইন (রোগ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কায় পৃথক রাখা হয়) না করে কীভাবে সরাসরি বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহারাব হোসেন বলে, ‘চীন থেকে আসা এক শিক্ষার্থী গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ১০০ এর নিচে তাঁর জ্বর। আমরা তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তাঁকে একটি আলাদা ভবনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার উপকরণ এই হাসপাতালে না থাকায় ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আতঙ্কিত না হতে বলেছেন বরগুনা সিভিল সার্জন হুমায়ূন শাহীন খান। তিনি বলেন, ‘চীনফেরত এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তিনি দীর্ঘ পথযাত্রা করেছেন। এতে তিনি হয়তো কিছুটা অসুস্থ হয়েছেন। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। বিষয়টি আমরা ঢাকায় জানিয়েছি। ঢাকায় রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না।’ গতকাল ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে তথ্য জানাতে সিভিল সার্জন অফিসে বেলা সোয়া দুইটার দিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সিভিল সার্জন হুমায়ূন শাহীন খান জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল ওই শিক্ষার্থীর রক্তসহ অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। ওই নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে। ওই শিক্ষার্থী চীন থেকে এলেও তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করে না রাখার কারণ জানতে চাইলে সিভিল সার্জন জানায়, ওই শিক্ষার্থীর জ্বর আছে কি না, পরীক্ষা করে বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তখন তিনি সুস্থ ছিলো।