শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করছে প্রধান শিক্ষক

কামরুন নাহার | ০০:২১, ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২০ মিনিট

মোঃ শাকিল মৃধা ॥ নগীর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ গাইড’র ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশেই মানহীন গাইড বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। সূত্র মতে, বরিশাল নগরীর বারৈজ্জার হাট এলাকায় ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে নতুন বছরের শুরুতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সেলিমা চৌধুরী ডলি খোলামেলা ভাবেই সর্ব শিক্ষার্থীর হাতে হলুদ রং এর একটি বুকলিষ্ট ধরিয়ে দেয়। ওই বুকলিষ্টে উল্লেখ রয়েছে ‘সংসদ’ নামের গাইড। এই গাইড বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান শিক্ষিকা সেলিমা চৌধুরী। ফলে ওই ‘সংসদ’ নামিক গাইড কিনে না দিয়ে রেহাই পাচ্ছেন না কোন অভিভাবক। এমন কি ধারদেনা করেও নিষিদ্ধ গাইড বই কিনে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। এ ধরনের অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, ‘সংসদ’ গাইড কোম্পানীর লেখকের সাথে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সাথে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হওয়ায় এই ‘সংসদ’ গাইড ক্রয় করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি। যদিও বুকলিষ্টে কোন নেই তার। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সেলিমা চৌধুরী ডলি দৈনিক দেশজনপদকে জানায়, আমি কোন শিক্ষার্থীকে নোট গাইড কিনতে বলিনি। তবে প্রতিদিন অনেক গাইড কোম্পানির লোক আমার বিদ্যালয়ে এসে আমাদের এবং শিক্ষার্থীদের সাথে গাইড কেনার জন্য কথা হয় বলে স্বিকার করে। এদিকে এই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাজিব, রোল নং-৩৯, রিফাত, রোল নং-৭০ সহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে বলে, ডলি ম্যাডাম ও দপ্তরী ২ জন মিলে আমাদের ‘সংসদ’ গাইড বই কেনার জন্য বুকলিষ্ট হাতে ধরিয়ে দিয়েছে জানুয়ারী মাসে। যারা এখন পর্যন্ত ‘সংসদ’ গাইড ক্রয় করেনি তাদেরকে ক্রয় করার জন্য প্রধান শিক্ষিকা চাপ দিচ্ছে বলে জানায় তারা। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অপর এক সূত্র জানায়, ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষিকা যা খুশি তা করছে।