বরিশালে কোথাও কঠোর কোথাও ঢিলেঢালা!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৫৪, জুলাই ০১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধের মধ্যে কোথাও কঠোরতা আবার কোথাও ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা গেছে নগরীতে। পাশাপাশি সড়কের কোথাও যাচাই-বাছাই করে গাড়ি ছাড়া হলেও, অন্য সড়কে নির্দ্বিধায় চলছে গাড়ি। এক সড়কে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকলেও অন্য সড়কে নেই তেমন কোনো তৎপরতা। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বরিশাল নগরীর সদর রোর্ড, কাকলির মোড়, সাগরদী পোলসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও নগরীর কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে আটোরিক্স, মাহিন্দা, রিক্সায় যাত্রী বহন করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা গেছে রিক্সা থামিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ থাকলে কাউকে আটকানো হচ্ছে না। তবে মোটরসাইকেলগামী যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুইজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে দিকে সাগরদী পোল সংলগ্ন এলাকায় একেবারেই ভিন্ন চিত্র। এই সড়কে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে প্রাইভেটকার, সিএনজিকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে না। ফলে এই সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাইভেটকার-সিএনজি,রিক্স। সাগদীতে এলাকায় কঠোর লকডাউনের মধ্যে দেখা গেছে বেশ কিছু মানুষের আনা গোনা। পরে প্রতিবেদক গিয়ে দেখতে পায়, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে ১০ কেজি চাল। কঠোরতা থাকলেও বরিশাল শহরের অনেক স্থানে নেই তেমন কঠোরতা। সড়কে গাড়ি বা সিএনজি নিয়ে বের হওয়া অধিকাংশ মানুষই মেডিকেলের কারণ দেখাচ্ছেন। সত্যতা যাচাই করে সহজে ছাড়াও পাচ্ছেন তারা। কেউ কেউ মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের। বাইকে দুইজন যাত্রী চলাচল নিষেধ থাকলেও চলাচল করছেন অনেকে। দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। কেউ যৌক্তিক কারণে বের হলে আমরা যেতে দিচ্ছি। তবে কারণ ছাড়া তেমন কেউ বের হচ্ছেন না। আমরা গাড়িগুলো থামিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। কবির নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমার মা হাসপাতালে ভতি, আমি যাবে সাগদী হাসপাতালে। কিন্তু রিকশার ভাড়া অনেক বেশি। তাই হেঁটে হেঁটে কাউনিয়া থেকে আসলাম। তিনি আরো বলেন, অথচ প্রাইভেটকার, সিএনজি, মটরসাইকেল কিন্তু রাস্তায় চলছে। এভাবে হলে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের সমস্যা। নিয়ম করলে তো কঠোর করা উচিত, কারো জন্য কঠোর কারো জন্য সহজ এটা ঠিক না। অন্যদিকে নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন কাঁচা বাজারেও দেখা গেছে প্রতিদিনের মতই মানুষ বাজারে এসেছে। অধিকাংশ মানুষের মুখেই নেই মাক্স। এছাড়াও পোর্ট রোড বাজারে দেখা গেছে বাজার করতে অনেককে। তাদের মুখে নেই মাক্স। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। সেখানে নেই কোন কঠোরতা।