বরিশালে পথশিশুদের পাশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:০৬, জুন ৩০ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ সমাজে এক শ্রেণীর শিশু আছে যারা বঞ্চিত থাকে পরিবারের আদর, স্নেহ ও ভালোবাসা থেকে।পথে কোন শিশুর জন্ম না হলেও তাদের বলা হয় পথের শিশু। মা-বাবা ভাই বোন হারিয়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এই শিশুরা হয়ে যায় যাযাবর। কারও মা নেই, কারও বাবা নেই, আবার কোন শিশুর মা -বাবা কেউ নেই। পরিবারের আপনজন হারিয়ে শিশুগুলো হয়ে যায় ভবঘুরে। বাসস্টান্ড, লঞ্চঘাট, রেললাইনের আসপাশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের বসবাস।অনেক সময় অনাহার ও অর্ধাহারেই কেটে যায় দিন, মাস, এমনকি বছর। দেশের প্রতিটি জেলার ন্যায় বরিশালেও রয়েছে পথশিশুদের বসবাস। তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরন করতে যদিও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। তবে সেটা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার সার্বিক সহযোগিতায় বরিশালে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অপরাজেয় বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু হঠাৎ করে পথশিশুদের নিয়ে তাদের কাজ করার প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর শিশুগুলো কোতোয়ালি মডেল থানার নারী ও শিশু কল্যান ডেক্স অফিসার এএসআই রুমা পারভীনের কাছে সহযোগিতা কামনা করে। উল্লেখ্য এএসআই রুমা পারভীন বিসিসির ১০নং ওয়ার্ডের ৭ নং বিট অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ৫০জন শিশুর কথা চিন্তা করে রুমা পারভীন যোগাযোগ করেন বেসরকারি সংস্থা(এনজিও) গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ,কে,এম মাকসুদ এর সাথে। সবকিছু শুনে তিনি পথশিশুদের খাবারের যোগান দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩০জুন নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক এলাকায় প্রায় ৫০জন পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি । পথশিশুদের খাবার বিতরণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিকেশন অফিসার মোঃ ফাইজুন ইসলামসহ গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির প্রতিনিধিরা। খাবার বিতরণ শেষে মোঃ ফাইজুল ইসলাম বলেন,, আমাদের নির্বাহী পরিচালক মহোদয় এর আন্তরিকতায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমরা এই শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি।তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তাদের পাশে থাকবো। পথশিশুদের খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী পরিচালক এ,কে,এম মাকসুদ । এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন ছিন্নমূল শিশুদের সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও লকডাউনকালীন সময় মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি আন্তরিক ভাবে কাজ করবে।