বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:১৮, জুন ৩০ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মাউলতলা এলাকার আলমগীর তালুকদারের ছেলে সোহেল তালুকদার নামে এক যুবককে আসামি করা হয়েছে।সোহেল ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা। বুধবার (৩০ জুন) সকালে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার জানান, এক গৃহবধূকে শিকল দিয়ে ঘরের খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে সেখানে যাওয়ার আগে তার শিকল খুলে ফেলা হয়। পরে জানতে পারি, ভিকটিমকে তার ভাই শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। তিনি জানান, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই ওই ভিকটিমের। তবে তিনি সোহেল তালুকদার নামে এক যুবকের নামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ভিকটিমের গ্রামে ভিজিডি কার্ডের তালিকা করার জন্য সোহেল এর আগে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেসময়েই ভিকটিমের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় বলে জানা গেছে। তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর ভিকটিমকের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িযা ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা সোহেল এর আগে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ভিজিডি কার্ডের তালিকা করার জন্য গিয়েছিলেন। তখন সোহেলের সঙ্গে একাধিক সন্তানের জননী ওই ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক হয় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল ভিকটিমকে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। গত কিছুদিন আগে ভিকটিম সোহেলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিষয়টি অস্বাকীর করেন। পরে গত ২৭ জুন ভিকটিম বিয়ের দাবিতে সোহেলের বাড়িতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় সোহেলের পরিবার ভিকটিমকে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ভাইয়ের কাছে তুলে দেয়। ভিকটিমের ভাই স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সোহেলের চাচা চেয়ারম্যান এবং তার পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কিছু করার সাহস পাননি তিনি। তাই উপায় না পেয়ে তিনি বোনকে ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে আটকে রাখেন।