যত্রতত্র থ্রী হুইলার ষ্ট্যান্ড

কামরুন নাহার | ০০:১৭, ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২০ মিনিট

মোঃ শাকিল মৃধা ॥ নগরীর ২০টি স্পটে থ্রী হুইলারের অবৈধ ষ্ট্যান্ডের কারনে বছরজুড়েই লেগে থাকে যানজট। পাশাপাশি এসকল স্পটগুলোতে হরহামেশাই চলে চাঁদাবাজী। বিসিসি’র পক্ষ থেকে নগরীতে গাড়ির ষ্ট্যান্ড তৈরী করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রায় ১০টি রুটে নগরী থেকে ৪ ধরনের থ্রী হুইলার চলাচল করে। এর মধ্যে গ্যাস চালিত অটো, সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটো, মাহিন্দ্রাগুলো রুপাতলি, নথুল্লাবাদ, সায়েস্তাবাদ, কালিজিরা, দপদপিয়া খেয়াঘাট, বটতলা, নতুন বাজার, মরোকখোলার পুল, লঞ্চঘাটসহ রুটগুলোতে যাত্রী পরিবহন করে। কিন্তু এই থ্রী হুইলারগুলো কোন প্রকার নিয়মনীতি ও ট্রাফিক আইন না মেনে নগরীর ব্যস্ততম সড়কের সাগরদী পুল, আমতলার মোড়, শেরেবাংলা মেডিকেল গেট, আমতলা পানির ট্যাংকির মোড়, বাংলা বাজার পুলিশ লাইন মোড়, চাঁদমারী, শিশু পার্কের সামনে, বান্দ রোড পাবলিক টয়লেটের সামনে, পোর্ট রোড ব্রিজের ঢালে, চকের পুলের ঢালে, বরিশাল কেন্দ্রীয় জেল খানার মোড়, বটতলা মসজিদ মোড়, বটতলা দুদক অফিসের বিপরীত পার্শ্বে, সোনালী আইচক্রীম মোড়, বাকলার মোড়, কাকলির মোড়, বিবির পুকুরের পাড় ফাতেমা সেন্টারের সামনে, মুন্সি গ্যারেজ, নতুন বাজার মোড়, মড়কখোলার পুলসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি স্থানে ভাসমান গাড়ী ষ্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে এই থ্রী হুইলার পরিবহনগুলো। এযেন দেখার কেউ নেই। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এ ষ্ট্যান্ডগুলোর ব্যাপারে একাাধিক গাড়ি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানায়, নির্দিষ্ট কোন ষ্ট্যান্ড নগরীতে না থাকায় আমাদের থ্রী হুইলার গাড়িগুলো যেখানে সেখানে পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামা করাতে হয়। এর জন্য গাড়ি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে বিভিন্নভাবে চাঁদাও গুনতে হয় গাড়ি চালকদের। তারা আরো জানায়, সিটি কর্পোরেশন কিংবা নগর ট্রাফিক বিভাগ যদি নির্দিষ্ট করে নগরীর সড়কগুলোতে ষ্ট্যান্ড চিহ্নিত করে দিতো তাহলে এই থ্রী হুইলার গাড়িগুলোর জন্য বেশ ভালো হতো। যাত্রীরাও সেই নিয়মে গাড়ি থেকে ওঠা নামায় অভ্যস্ত হতো। চালকরাও যাত্রী ওঠা নামার জন্য সেইভাবে গাড়ি ষ্ট্যান্ড ব্যবহার করবে। এমটি নেই বলেই যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামা করতে হয় বলে দাবী অধিকাংশ চালকদেরও। এনিয়ে বিসিসি’র সড়ক পরিদর্শক জানায়, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এর পরেও বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে ভাসমান ষ্ট্যান্ড গড়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। এদিকে নগরীতে প্রতিদিন সকালে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের সময়, চাকুরীজীবীরা অফিসে যাওয়ার সময়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত ছুটির সময়সহ দিনের অধিকাংশ সময়ই যানজট লেগেই রয়েছে। এর মূল কারন হলো থ্রী হুইলার গাড়ি যত্রতত্র পার্কিং জট। বরিশাল মেট্রো ট্রাফিক এসি মোঃ ফাইজুর রহমান বলে, বরিশাল নগরীতে যানজট নেই। তবে থ্রী হুইলার গাড়িগুলো কারনে অকারনে ব্যস্ততম সড়কের উপর পার্কিং করা হয়। যার ফলে অন্যান্য যানবাহন চলতে কষ্টসাধ্য হয়ে হয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, নগরীর রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ ষ্ট্যান্ড ছাড়া আর কোন ষ্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং হয়। এতে যেমন গাড়ি চালকদের দূর্ভোগ তেমন নগরবাসিরও দূর্ভোগ। গাড়ি ষ্ট্যান্ড তৈরী করে নগরবাসির দূর্ভোগ লাঘবে সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নগরবাসী।