দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশনা ছাড়াই এমপি মিরাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:১২, জুন ২৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দলীয় হাই কমান্ডের কোন নির্দেশনা ছাড়াই বানারীপাড়ায় সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা ও বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ট নির্বাচনের পক্ষে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক অবাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানাগেছে, গত বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ্ মঞ্জু মোল্লার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলার বাইশারী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি তাজেম আলী হাওলাদারের পক্ষে ও দলীয় নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল চক্রবর্ত্তীকে হারাতে তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, তাজেম আলীর সঙ্গে ছবি তোলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদারকে দিয়ে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন ও অনুদান বিতরণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এ প্রসঙ্গে অভিযোগ অস্বীকার করে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বলেন, দলীয় কোন নির্দেশনা ছাড়া একজন এমপিকে কিভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হয় সেটা আমার জানানেই। আমি জনগনের জন্য কাজ করি। হাই কমান্ড থেকে যে ধরনের নির্দেশনা আসে আমি সে ভাবেই কাজ করি। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এক শ্রেনীর মানুষ এ করোনা কালীন সময়ে সরকারকে সাহায্য না করে বরং তারা আওয়ামীলীগের ক্ষতি করছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, ফোরকান আলী হাওলাদারকে দিয়ে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন ও অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে, কারণ তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের বাইরের কাউকে দিয়ে তো আমি কাজ করাচ্ছি না। তাজেম আলী হাওলাদারের সঙ্গে তার ছবি থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ওই ছবি তিনি (তাজেম) ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ছয় মাস আগের ছবি। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার ছবি থাকাটা স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজেম আলী হাওলাদার আমার বাবা। তারপরও তার কিংবা দলীয় প্রার্থীর কারো পক্ষেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। এ ঘোষণার সঙ্গে এসময় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা, সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপির বিদায়ী চেয়ারম্যান খিজির সরদার প্রমুখ।