বাউফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে নৌকার ০৮ ও স্বতন্ত্র ০১ প্রার্থীর জয়
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৮:৪১, জুন ২২ ২০২১ মিনিট
মোঃ দুলাল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী বাউফলের ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী ও নানান প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে নৌকা মার্কার ০৮ প্রার্থী এবং ০১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় লাভ করেছেন।
কালাইয়া ও কালিশুরী ইউনিয়নে নৌকার দুই প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৭ ইউনিয়নের ৬ টিতে নৌকার ও ১ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সকল ষড়যন্ত্রের উর্ধ্বে থেকে তৃণমূলের কর্মীরা নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এই জয় তৃণমূল আওয়ামীলীগের।
সোমবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী নৌকার প্রার্থীরা হলেন, কেশবপুরে সালেহ্ উদ্দিন পিকু , ধুলিয়ায় মু. হুমায়ন কবির, কনকদিয়ায় মো. শাহীন হাওলাদার , বগায় মো.মাহমুদ হাসান , আদাবাড়িয়ায় মো. মনজুর আলম হাওলাদার , কাছিপাড়ায় মো. রফিকুল ইসলাম ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক আলকাছ মোল্লা।
দিনভর সরেজমিনে পর্যেবেক্ষণে দেখা যায়, অবাধ, সুষ্ঠ ও সুন্দর ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে। নির্বিঘ্নে প্রতিকূল আবহওয়া উপেক্ষা করে সাধারণ ভোটারেরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রদান করে। কেশবপুরের একটা কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও অন্য কোন ইউনিয়নে কোন সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
কেশবপুর ইউনিয়নে দিনের শুরুতে কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন লাভলু (চশমা), মো. রফিক , আরেক মেম্বার প্রার্থী বোনা খান ২০/২৫ জন কর্মী সর্মথক নিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী ফলে নৌকার প্রার্থীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আকারে। ঘটে গোলাগুলির ঘটনা। গুরুতর আহত হয় লাভলু সমর্থিত মো.মিরাজ, রাশমোহন ও রাব্বি তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুক্ষণ ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয় ওই কেন্দ্রে।
অপরদিকে কেশবপুর, ধুলিয়া, আদাবাড়িয়া ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে নৌকা, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্থানীয় বিএনপির মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হয়েছে।
এব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সংঘাতের বিষয় মাথায় রেখে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।