যে কোনো মূল্যে ঢাকা-বরিশাল নৌরুট সচল রাখা হবে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৫৩, জুন ১৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পূর্বাভাস অনুযায়ী অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর নদীভাঙনের আশঙ্কা বেশি। এ কারণে নদীপথে নাব্য সংকটও বেশি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংকট যাই হোক, যে কোনো মূল্যে ঢাকা-বরিশাল নৌপথ চালু রাখা হবে। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ হবে পদ্মার মাওয়া ঘাট, ঢাকা-বরিশাল রুটের মিয়ারচর ও পটুয়াখালীর কারখানা চ্যানেল চালু রাখা। ভরা বর্ষায় অথৈ জলে টইটুম্বুর বাংলার নদী। স্রোতের তোড়ে কূল ছাপিয়ে কোথাও কোথাও জনপদে বৃষ্টি ও বানের জল। প্রকৃতির এই বৈচিত্র্যই সৌন্দর্যময় করে তোলে নদীমাতৃক বাংলাদেশকে। তবে বর্ষা ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে প্রতিবছরই ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী নৌপথের কয়েকটি জায়গা ও মাওয়া ফেরিঘাটে সৃষ্টি হয় নাব্য সংকট। স্রোতের তোড়ে হারিয়ে যায় পথ নির্দেশক বয়াবাতি। মূলত নদীভাঙন ও উত্তরাঞ্চলের বন্যায় তৈরি হওয়া পলিমাটি পানির সঙ্গে নেমে আসার কারণেই এ সংকট। পূর্বাভাস অনুযায়ী এ বছর নাব্য সংকটের শঙ্কা আরও বেশি। এ সংকট সমাধানে সরেজমিন পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত নৌপথ যাত্রা করছেন নৌ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরিদর্শনের সময় তারা নদীপথের কোথায় কত মিটার গভীরতা রয়েছে, তা আধুনিক যন্ত্র দিয়ে মেপে দেখছেন। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বমডোর গোলাম সাদেক জানান, পটুয়াখালী ঢোকার মুখে কারখানা নদীতে এলাকাবাসীর খনন কাজে বাধা দেয়ায় ওখানকার নাব্য সংকটের সমাধান করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া বাকি সমস্যাগুলো প্রাকৃতিক। নৌ প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, ড্রেজার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫টি করা হয়েছে। যে কোনো মূল্যে ঢাকা-বরিশাল নৌরুট সচল রাখা হবে। তিনি বলেন, ৩১টি রুটের এরই মধ্যে দিকনির্দেশক করা হয়েছে, এটির ওপর ভিত্তি করে ড্রেজিং করা হবে। বর্তমানে যেসব নৌরুটে নৌযান চলাচল করছে সেগুলোরও ড্রেজিং কাজ অব্যাহত থাকবে।