বানারীপাড়ায় শেষ মূহুর্তে নৌকায় উঠেছে আনারস

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:০৬, জুন ১৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  নৌকায় উঠেছে আনারস। কিন্তু একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে কেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। তবে কি নৌকার অবস্থান সেখানে খুববেশি ভালো ছিলোনা, কিংবা প্রার্থী যাচাইয়ে কমতি ছিলো। এমনই জল্পনা-কল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছিল বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার শের-ই-বাংলার পূণ্যভূমি চাখারের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। শেষ মুহুর্তে এসে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে সমর্থন দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে কেন নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে মিলনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। এ বিষয়ে সরেজমিনে জানাগেছে চাখার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় সব নেতা ও কর্মীরা এমন কি বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. খিজির সরদারও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে তা প্রত্যাহার করার পরে, নির্বাচনী মাঠে থাকা অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মিলনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন যুগিয়েছেন বলে জানাগেছে। এসব কারনেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিলনের আনারস প্রতীকের পাল্লা অনেকটা ভারি ছিলো। এজন্যই শেষ মুহুর্তে প্রার্থীসহ ওই সব নেতা ও কর্মীরা আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হতে পারে তাই দলীয় প্রার্থীর নৌকা প্রতীককে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানাগেছে। ফলে এখানে ইউপি নির্বাচনকে নিয়ে সকল জল্পনা-কল্পনা, হিসাব-নিকাষ ও শঙ্কার অবসান ঘটে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরনের সৃষ্টি হয়েছে। ১৬ জুন বুধবার বেলা ১১টায় চাখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্রোহী প্রার্থী ওয়াহেদুজ্জামান মিলন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।চাখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.মালেক হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল,বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার প্রমুখ। এখানে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী আইয়ুব সিকদার ও এনপিপি’র আম প্রতিকের প্রার্থী মামুন সিকদারের ছিটেফোঁটা পোষ্টার সাঁটানো ছাড়া মাঠে ময়দানে কোন তৎপরতা নেই। তারা অনেকটা নামমাত্র প্রার্থী হয়েছেন। উল্লেখ্য আগামী ২১ জুন এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।