হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন ফল

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৫৬, জুন ১৫ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিনিধি।। জ্যৈষ্ঠ মাস মানে মধুমাস। জ্যৈষ্ঠ মাস শেষে প্রকৃতি এসেছে বর্ষার ডামাডোল পিটিয়ে। আম, কাঁঠাল লিচু, জাম, কলা, জামরুল, পেঁপে ও আনারসের সেই মধুক্ষন সময়। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরণের ফল । এ অঞ্চল থেকে প্রতিবছর মধূমাসের এলাকার চাহিদা পূরণের পরে বিপুল পরিমান আম, জাম, লিচু, কলা, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরণের ফল দেশের গুরুত্বপূর্ন স্থানসমূহে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। জানা গেছে, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে মৌসুমী ফল সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই এ অঞ্চলে। ফলে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার আম, জাম, কাঁঠাল, কলা নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রন্ত হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তি মালিকানা বড় ছোট মিলে এ অঞ্চলে দুই হাজারেরও বেশি আম, জাম, কাঁঠাল, কলা এবং পেঁপে বাগান রয়েছে। বর্তমানে এসব বাগান আরো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এসব ফল উৎপাদন করার জন্য প্রতিবছর প্রশিক্ষণ, গাছের পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, বয়স্ক গাছের পরিবর্তে ফলনশীল জাতের নতুন নতুন চারা রোপণ করা হচ্ছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন করার জন্য এ অঞ্চলের চাষিরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। বেতাগী পৌরসভা এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের পেঁপে ও কলা বাগান মালিক কৃষ্ণ কান্ত ঘরামী জানান, এ বছর কলা ও পেঁপে ফলন ভালো হলেও প্রয়োজনীয় পৃষ্ট পোষকতার অভাবে চাষিরা এসব মৌসুমী ফলের দাম ভালো পাচ্ছে না। ‘ বাগান মালিকরা বিভিন্ন খপ্পরে পড়ে তাদের উৎপাদিত ফল অল্প দামে বিক্রি করছেন। অনেক বাগান মালিক আম সংরক্ষণ করতে না পারায় প্রতি বছর আম পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানকার এলাকার হাট-বাজারগুলোতে দেশীয় এবং উত্তর অঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রজাতির আম ও ফল সয়লাব। তবে এসব ফল হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ ফল বিক্রেতাদের। বাসস্ট্যান্ডে ফল বিক্রেতা আব্দুল বারেক মুসুল্লী জানায়,’ হিমাগারের অভাবে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রি করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ‘ এলাকার বিভিন্ন ধরণের মৌসুমী ফল উৎপাদনকারী অনেক চাষি অভিযোগ করে বলেন, ফলের বাগানের উপর বা বাগান করার জন্য সরকার কোন ঋণ প্রদান করে না। তবে সরকার সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করলে এসব বাগান মালিকেরা লাভবান হতে পারতো।’ কলা, আম, পেঁপে ও আনারসসহ বিভিন্ন ফল পাইকারী বিক্রেতা সাইয়েদ আলী জানায়, ফল এক সময় কৃষকদের কাছ থেকে বেশি কিনলে এবং ওই ফল যথা সময় বিক্রি না করতে পারলে পঁচে যায়।’ এ বিষয় পৌরসভা’র প্যানেল মেয়র এবিএম মাসুদুর রহমান খান বলেন,’ পৌরসভার বাজারকে আধুনিক বাজারে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। শাক-সবজি ও ফল সংরক্ষনের জন্য হিমাগার করার পরিকল্পনা রয়েছে।’