দাঁড়িয়ালে নির্বাচনী সহিংসতা চরমে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা
নিজস্ব প্রতিনিধি।।আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে বাড়ছে সহিংসতা। এতে করে ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা তাই প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর দাবী তারা যেনো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
গতকাল সোমাবার ইউনিয়নের কামারখালি বাজারে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ সভাপতিকে লাঞ্ছিত করেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সহিদুল ইসলাম হাওলাদার। এ বিষয়ে দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজ হাওলাদার বলেন, আমার এক স্বজন অসুস্থতাজনিত কারনে হাসপাতালে ভর্তি আমি সেখানে পনেরো দিন অবস্থান করার পরে গতকাল গ্রামে আসার সাথে সাথে আমাকে দেখেই উত্তেজিত হয়ে যান সহিদুল ইসলাম হাওলাদার। তখন উভয়ের ভিতরে হাতাহাতি হয় এতে অনেকটা আহত হন রিয়াজ, জুয়েলসহ ৪/৫ জন। পরে সড়শি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সতন্ত্র প্রার্থী এম এ জব্বার বাবুল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী সহিদুল ইসলাম হাওলাদারের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখায় তারা যেনো ভোটকেন্দ্রে না যায়। এমন একই অভিযোগ অন্যান্য প্রার্থীদেরও। দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বার বাবুল, মাসুদ হাওলাদার ও কামরুজ্জামান মিজান মিঞার অভিযোগ, আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সহিদুল ইসলাম হাওলাদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মানুষকে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে যাতে করে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যায়। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। কামরুজ্জামান মিজান মিঞা বলেন, দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন না করলে ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইশতিয়াক আহমেদ মাসুদ হাওলাদার বলেন, এখন পর্যন্ত আমার ১০/১২ জন কর্মীদেরকে মারধর করে আহত করেছেন সহিদ হাওলাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী। শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা-মামলার ভয়ভীতিও দেখায় সহিদুল ইসলাম হাওলাদারের লোকজন। আসছে ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে প্রশাসনের প্রতি এমন দাবী প্রার্থী ও দাঁড়িয়ালের জনগণের।