বরিশালে ৬টি জেলার মধ্যে ৪টিতেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান বন্ধ!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৫৩, জুন ০৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল বিভাগে মোট জনসংখ্যার ২.৫০% মানুষকে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ দেয়ার পরে ভেকিসিনের অভবে ৬টি জেলার মধ্যে ৪টিতেই দ্বিতীয় ডোজ প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বরগুনা ও ঝালকাঠীতে ৪ হাজারের মত ভেকসিন মজুদ থাকলেও তা চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ এখনো প্রথম ডোজ গ্রহনকারী প্রায় ৭২ হাজার নারী-পুরষ দ্বিতীয় ডোজের প্রতিষেধক গ্রহন করতে পারেননি।   কবে নাগাদ প্রথম ডোজ গ্রহনকারী অবশিষ্ট সকলে দ্বিতীয় ডোজের ভেকসিন গ্রহন করতে পারবেন তা বলতে পারছেন না দক্ষিণাঞ্চলের কোন সিভিল সার্জন সহ বিভাগীয় পরিচালকও। তাদের মতে এটা জাতীয় সমস্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর সহ সরকারের নীতি নির্ধারক মহল পুরো বিষয়টি অবগত আছেন। দেশে যখন দ্বিতীয় ডোজের ভেকসিন প্রদান শুরু হবে, জাতীয় নীতিমালার আলোকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ডোজ গ্রহনকারীরা অগ্রাধীকার ভিত্তিতেই তা পাবেন।   গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলার প্রায় ৪৬টি কেন্দ্রে করেনা প্রতিষেধক ভেকসিন প্রদান শুরু হয়। প্রথমদিকে ভেকসিন গ্রহনে খুব সারা না মিললেও পরবর্তিতে সমাজের সচেতন মনুষের মধ্যে ভেকসিন গ্রহনে আগ্রহ সৃষ্টি হলেও ততদিনে বরিশাল বিভাগের ৩টি জেলা থেকে প্রায় ১ ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ ভেকসিন খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩ জনকে ভেকসিন প্রদানের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রথম ডোজের কার্যক্রম শেষ হলেও তাদের সবাই দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পারলেন না। আর প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর আড়াই লাখের মধ্যে মাত্র ৯০ হাজার ১৫৮ জন নারী।   গত ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজের ভেকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হলেও ২৯ মে পটুয়াখালীতে, ৩১ মে ভোলা ও পিরোজপুরে এবং ৩ জুন বরিশালে দ্বিতীয় ডোজের ভেকসিন প্রদান শেষ হয়ে গেছে। সোমবার পর্যন্ত বরগুনা ও ঝালকাঠীতে মাত্র ৪ হাজার ডোজের মত ভেকসিন অবশিষ্ট রয়েছে বলে জানা গেছে।   ফলে দক্ষিনাঞ্চলে প্রয় ১ কোটি মানুষের মধ্যে যে মাত্র ২ লাখ ৫০ হজর ৩০৩ জনকে প্রথম ডোজের ভেকসিন প্রদান সম্ভব হয়েছিল, তাদের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ৭৮ হাজারের মত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পেরছেন। যারমধ্যে নারী ৬০ হাজারেরও কম। প্রথমডোজ গ্রহনকরী ৭২ হাজারের মত নারী-পুরুষ কবে দ্বিতীয় ডোজ পাবেন তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তাই থেকে যাচ্ছে। এদিকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৫৭ জনে উন্নীত হয়েছে।   আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের। এরমধ্যে চলতি মাসেও প্রথম ৭দিনে আক্রান্ত ২৫১ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গত এপ্রিলে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩ হাজার ২শ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু ঘটলেও মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯০৩ জন। মারা গেছেন ২১ জন।