ধরা ছোয়ার বাহিরে প্রধান ২ আসামি

কামরুন নাহার | ১৬:৪৬, ফেব্রুয়ারি ১২ ২০২০ মিনিট

স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল সদর উপজেলার বুখাইনগরের রাজধর গ্রামের বাসিন্দা ও দলিল লেখক মোঃ রেজাউল করিম রিয়াজকে হত্যার ঘটনায় বিগত ১০ মাসেও ২ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। আজ বুধবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সংশয় প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম রিপন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে আমার ছোট তাই মোঃ রেজাউল করিম রিয়াজকে কে (দলিল লেখক) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নিজ ঘরে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন আমি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মৃত রেজাউল এর স্ত্রী আমেনা আক্তার লিজা কে পুলিশ আটক করে আদালতে হাজির করা হলে লিজা ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে বলেন, তার স্বামীর সহকারী মোঃ মাসুম হোসেন দা দিয়ে কুপিয়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন। এসময় মাসুমের সাথে থাকা অন্য এক ব্যক্তি বালিশ দিয়ে রিয়াজের মুখ চেপে ধরেন। আর ঘটনার পর থেকেই মৃত রেজাউলের দুই সহকারী মাসুম ও হাবিব পলাতক রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ওই দুই জনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস মাসুম ও হাবিবকে গ্রেফতার করা হলেই আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। একই সাথে মাসুমের সাথে আমেনা আক্তার লিজার (মৃত রেজাউলের স্ত্রী) পরকিয়ার সম্পর্কের বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে পরকীয়ার কারণেই এই পরিকল্পিত হত্যার ঘটনাটি ঘটে এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে আমেনা আক্তার লিজা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন।এ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের ছোটভাই রিয়াজ।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হত্যাকাণ্ডের শিকার দলিল লেখক রিয়াজুল কবির রিয়াজের বড় ভাবি রেবেকা সুলতানা, মামা মোঃ আঃ হাই, খালাতো ভাই শাকাওয়াত হোসেন ও ফুফাতো ভাই মোঃ নান্নু মিয়া।এদিকে এ বিষয়ে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন জানান, রিয়াজ হত্যায় জড়িত আসামীরা পুলিশের নজরদারিতে আছে। চলতি মাসেই তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হবে পুলিশ।