বরিশালে সেই তিন ক্ষুদে বিজ্ঞানীকে সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার তিন ক্ষুদে বিজ্ঞানীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার উপজেলার সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন ক্ষুদে বিজ্ঞানী শিক্ষার্থীকে গৈলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ক্ষুদে বিজ্ঞানী গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামের ২টি রোবট ‘রবিন’ ও ‘সেবক’ উদ্ভাবক সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের ছাত্র শুভ কর্মকার, একই ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা (পালপাড়া) গ্রামের রোবট ‘বঙ্গ’ উদ্ভাবক সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুজন পাল ও ভদ্রপাড়া গ্রামের রোবট ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ উদ্ভাবক সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র শাওন সরদারকে গৈলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, গৈলা বাহিনীর এডমিন শহিদুল ইসলাম, রাব্বি ইসলাম, রিফাত হোসেন, তানজিম খান ও সগর হাওলাদার।
উল্লেখ্য, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের বাসিন্দা তিন কিশোর রোবট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামের শুভ কর্মকার, উত্তর শিহিপাশা (পালপাড়া) গ্রামের সুজন পাল ও ভদ্রপাড়া গ্রামের শাওন সরদার তারা তিন জনই সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দু’জন বিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে শুভ কর্মকার বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র ও সুজন পাল গৌরনদী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র আর শাওন সরদার সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে।
তাদের রোবট তৈরির বিশেষায়িত কোনো প্রশিক্ষণ নেই। শহুরে কিশোর কিংবা তরুণদের মতো সার্বক্ষণিক তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা নিয়েও তারা বেড়ে ওঠেনি। এরপরেও স্মার্টফোনের মাধ্যমে রোবটিক্সের প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা বানিয়ে ফেলেছে তিন তিনটি রোবট। যা চাঞ্চল্য তৈরি করেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। কিশোরদের তৈরি রোবটগুলো বাংলা, ইংরেজি, হিন্দির পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষাতেও কথা বলতে পারে।
প্রশ্ন করলে জবাব দেয় এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় তাদের তৈরি রোবট। আগুন লাগলে কিংবা গ্যাস লিক হলে সংকেত দেওয়ার সক্ষমতাও আছে তাদের। এমনকি কোভিড আক্রান্ত রোগীর কাছে জরুরী ওষুধ কিংবা পথ্যও পৌঁছে দিতে পারে একটি রোবট। রোবটের এসব কার্যক্রম দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষ এখন প্রায় প্রতিদিন এই কিশোরদের বাড়িতে ভিড় করছেন।